মোহাম্মদ
ছৈয়দুল আলম:
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
চট্টগ্রাম নগরীরের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাদের শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আটক করা হয়। র্যাবের এক
বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে র্যাবের পক্ষ থেকে।
র্যাব জানায়, বাঁশখালী থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে উদ্দেশ্যে আসার তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তল্লাশি করে চারজনকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭ সূত্র জানাযায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে একটি সিএনজি যোগে বাঁশখালী হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। এ সময় একটি সিএনজি তল্লাশী করে আসামীদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হলেন ০১। মোঃ ইলিয়াস (৪৫), পিতা- মৃতঃ কবির আহমদ, সা- কুদ্দগহিরা, পো- দোভাষীবাজার, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ০২। ইমরান হোসেন রাসেল (২৪), পিতা- জানে আলম, সাং- কুদ্দগহিরা, পোঃ দোভাষীবাজার, থানা- আনোয়ারা, জেলা- চট্টগ্রাম, ০৩। মীর এরফানুল হক মারুফ (২৩), পিতা- মীর মাহমুদুল হক, গ্রাম- দৌলতপুর, ফাজিলখারহাট, থানা- কর্ণফুলি, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ০৪। গিয়াস উদ্দিন (২৮) (সিএনজি ড্রাইভার), পিতা- মৃত আজিজুর রহমান, সাং- ফরিংকাইন, পোঃ বুথপুরা বাজার, থানা- ফটিকছড়ি, জেলা- চট্টগ্রাম’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে আটককৃত ১নং আসামী মোঃ ইলিয়াসের কাধে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ইট সাদৃস্য স্কচটেপ ও কাগজ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ০১ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহিত একটি সিএনজি জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে আসামীদ্বয় একে অপরের যোগসাজশে অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৩ কোটি টাকা।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে। তারা একে অপরের যোগসাজশে অধিক লাভের আশায় চট্টগ্রাম মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি টাকা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাকলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment