মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ই-একুশে মিডিয়া |
বাঁশখালীতে ১১ দিন ব্যাপী একবিংশতম আন্তর্জাতিক ‘ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা’ ২০২৩ উদযাপন সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বয় সভায় বক্তারা বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় ও দেশের একমাত্র এই ‘ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা’ এই বাঁশখালীর ঋষিধামে প্রতি তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই কুম্ভমেলায় শুধু সারাদেশ নয় বিভিন্ন দেশে থেকে আনেক ভক্তবৃন্দরা আসেন, আগত অতিথি ও ভক্তবৃন্দদের সকল প্রকাশ সুযোগ সুবিধা দাওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে সুন্দর ও সফলভাবে কাজ করে যেতে হবে।
ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমন্বয় সভা সোমবার (২৩ জানুয়ারী) কোকদন্ডী ঋষিধামে অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভা বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও তাপস নন্দীর সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঋষিধাম ও তুলসীধামের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ।
বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলি, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামাল উদ্দীন (পিপিএম), বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন একবিংশতম আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরীক, সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড.আ.ন.ম শাহাদাত আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকতা আবু ছালেক সহ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
একবিংশতম আন্তর্জাতিক ‘ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা’ ২০২৩ উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ জানিয়েছেন, এবারের ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা বাজেট করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এম.পি সহ স্থানীয় সরকারের মেয়র, চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতারা অতিথি হিসাবে অংশ গ্রহন করবেন। এই কুম্ভমেলা সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে সকল ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে এবং এই মেলা আগত দেশী-বিদেশী অতিথিদের থাকা-খাওয়া সহ সকল প্রকার সেবা দেওয়ার জন্য ৫ হাজারের বেশি সেবক নিয়োগ করার হয়েছে। সকলের জন্য প্রতিদিনের প্রসাদের সুব্যবস্থা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment