দিদার হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার:ই-একুশে মিডিয়া
বাঁশখালীতে ১১দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক কুম্ভমেলা উদযাপন অনুষ্ঠানের ৫ম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক প্রধানমন্ত্রী এদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজেদের নাগরিক অধিকারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন যা রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে। ইসলাম ধর্মসহ অন্যান্য সকল ধর্মেই স্বাধীনভাবে নিজেদের ধর্ম পালন করার অধিকার নিশ্চিত করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার দর্শন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই মানুষ। সকলের অধিকার আছে একটি দেশে নিজেদের ধর্ম পালন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পূর্ণ নাগরিক অধিকার এবং আত্মসম্মান নিয়ে বসবাস করার। জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনাকে নষ্ট করে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব-বিবাদ সৃষ্টি করতে ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে একটি সুবিধাবাদী মহল। তারা ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে সকল ধর্মের মানুষের সাথে খেলা করে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার বাস্তাব প্রমাণ হচ্ছে এই ঋষিধামে কুম্ভমেলায় যেমন সকল ধর্মের মানুষের আনন্দ উপভোগ করছে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর শুরু হয়েছিল নৃশংস ও নির্মম নির্যাতন। বাংলাদেশকে এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল ‘একাত্তরের এদেশীয় ঘাতক-দালাল ও তাদের উত্তরসূরী এবং পৃষ্ঠপোষকদের’ দ্বারা গঠিত সেই সরকার। গ্রেনেড হামলা সহ দেশে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হতো শত শত নিরহ মানুষ এখন আর সেই দিন নেই।
আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ৫দিনে ধর্মসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি।
প্রধান মেহমান ছিলেন স্থানীয় সাংসদ ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ড.নিমচন্দ্র ভৌমিক, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটি এম পেয়ারুল ইসলাম।
ধর্মসভায় বক্তব্য আরো রাখেন, ,বাংলাদেশ পূজা পরিষদ ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, কালীপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড.আ.ন.ম শাহাদাত আলম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারচড়া ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, খানখানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল দাশ, ধর্মসভায় সঞ্চলনায় ছিলেন, ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা মেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ, অর্থ সম্পাদক তড়িৎ কান্তি গুহ, বিভাস গুহ, যুগ্নসম্পাদক ছোটন গুহ, লায়ন সুভাষ নন্দী, প্রদীপ গুহ, শহীদুল হক, ঝন্টু দাশ, টিটন চৌধুরী, রূপন গুহ্, সুব্রুত দেব, অমিত চক্রবর্তী, পরাগ দত্ত, মিটন শীল ও শুভজিৎ দাশ প্রমূখ।
No comments:
Post a Comment