দিদার হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার:
ই-একুশে মিডিয়া |
সে ঘর নির্মাণ কাজ করত এসে ঘর মালিক আব্দুস শুক্কুর বাবুর্চির পরিবারের পর্দানশিন মহিলাদের সাথে প্রায় অনৈতিক আচরণ করে শাহাবুদ্দিন,বিষয়টি টের পেয়ে আব্দুস শুক্কুরের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাঁধা প্রদান করিলে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও বুধবার সকাল ১১ টার দিকে এসে পূনরায় পর্দানশিন মহিলার সাথে অনৈতিক ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করিলে ভিকটিম আনোয়ারা বেগম অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনের এমন অনৈতিক কাজে বাঁধা প্রদান করিলে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে শাহাবুদ্দীন।
অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন নির্মাণ কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করতে এসে ঘরের মালিক(আব্দুস শুক্কুর) বাবুর্চির পরিবারের পর্দানশিন মহিলাদের সাথে কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে মেস্ত্রী শাহাবুদ্দিন।
তার এমন অনৈতিক কাজে আব্দুস শুক্কুর (বাবুর্চি)'র স্ত্রী ভিকটিম আনোয়ারা বেগম(৫০) বাঁধা প্রদান করিলে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন এতে বাড়াবাড়ি শুরু করে,বাড়াবাড়ির এক পর্যায়ে বয়স্ক মহিলা আনোয়ারা বেগমের কাপাড়-চোপড় টানা হেঁচড়া করে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন,এসময় ভিকটিম জান্নাতুন নুর দৌঁড়ে এসে আনোয়ারা বেগমকে শাহাবুদ্দিনের হাত থেকে রক্ষা করতে আগাইয়া আসিলে জন্নাতুন নুর (৩০) কে শালীনতা হানি করে দৌঁড়ে বাড়ীতে চলে যায় শাহাবুদ্দিন। পরে বাড়ি থেকে শাহাবুদ্দিন (২২), তার ভাই মহিউদ্দিন (২৪),মনির উদ্দিন (২৬) এবং তাদের ভগ্নিপতি ইসমাইল (৩৩) সহ দল বল নিয়ে আব্দুস শুক্কুর বাবুর্চির পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে এসময় আব্দুর রহমান (২৩), মোহাম্মদ মালেক (২৮), আবু বক্কর(৩২), জান্নাতুন নুর (৩০) মোহাম্মদ হানিফ (২২), আনোয়ারা বেগম (৫০) আব্দুস শুক্কুর (৬১) সহ ৭ জন আহত হয়, আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদের চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেছে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এব্যাপারে আব্দুস শুক্কুর বাবুর্চির ছেলে আবু ছিদ্দিক জানান,শাহাবুদ্দিন আমাদের ঘর নির্মাণ কাজ মেস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে এসে আমাদের পরিবারের পর্দানশিন মহিলাদের সাথে ইভটিজিং মূলক আচরণ করে,এতে আমার মা ভিকটিম আনোয়ারা বেগম বাঁধা প্রদান করিলে অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন তার ভাই সহ দলবল নিয়ে দা-লাঠিসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর হামলা করে,এসময় উপায়ন্তর না দেখে আমি দ্রুত সরকারি ৯৯৯ তে কল করে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করি,বিষয়টি অভিযুরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়,হামলাকারীদের হামলায় আমাদের পরিবারের দুই মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়।
আহতদের ৩জনকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলেও ৪ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়াতে তাদেরকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আবু ছিদ্দিক। একুশে মিডিয়ার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment