মুহাম্মদ দিদার হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রশাসনকে মেনেজ করে ইট ভাটা গুলোতে কয়লার পরিবর্তে পুড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ,ইট তৈরির জন্যে কৃষি জমি ধ্বংস করে নেওয়া হচ্ছে মাটি,নজরদারি নেই প্রশাসনের।সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় বাঁশখালীর ইট ভাটা গুলোতে কয়লার পরিবর্তে পুড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ,ইট তৈরির জন্যে কৃষি জমি থেকে নেওয়া হচ্ছে ট্রাকে- ট্রাকে মাটি,এতে একদিকে কৃষি জমি হারাচ্ছে অসহায় কৃষক,অপরদিকে ধ্বংসের মূখে পরিবেশ,সরকারী বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছেনা ভাটা মালিকরা,সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় সচেতন মহলে চলছে আলোচনা -সমালোচনা।
বাঁশখালী ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইরান চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন ইট ভাটা মালিকরা বলেন,গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তর বাঁশখালীতে দুই/তিনটি ইট ভাটা ভেঙে দিয়েছে এসময় অনেক ভাটা মালিকদের জরিমানাও করেছে,এতে অনেক লোকসানে পড়েছে ভাটা মালিকরা,তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সাথে যোগসাজশে ইট ভাটা কার্যক্রম পূনরায় চালু করেছে বলে ভাটা মালিক সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলার বাহারচড়ার ইলশা গ্রামে তিনটি, লটমনিতে তিনটি,পুকুরিয়া একটি, পশ্চিম চাম্বলে একটি,শেখেরখীল রাস্তার মাথার পশ্চিমে একটিসহ অন্তত এগারোটি ইট ভাটায় জ্বালানো হচ্ছে কয়লার পরিবর্তে বনের কাঠ,ইট তৈরীর জন্যে কৃষি জমি ধ্বংস করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটি।
পরিদর্শনকালে ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ইরান চৌধুরী বলেন বাঁশখালীতে আমি ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হওয়ার পর ইট ভাটা মালিকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই লাখ টাকা দেয়া হয়েছে,তবে ওইসব টাকা ইউনও সাহেব নিজের জন্যে নেননি,১৬ ডিসেম্বর এবং ২৬ মার্চসহ সরকারি প্রোগ্রামে খরচের জন্যে নিয়েছেন বলেও জানান তাঁরা,সরকারি প্রত্যেক প্রোগ্রামের জন্যে এভাবে এভাবে ইট ভাটা মালিকদের কাছ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে টাকা দিতে হয় বলেও জানান তিনি এবং থানা প্রশাসনকে এককালীন টাকা চাঁদা, এছাড়াও সাংবাদিকদের একটি মহলকেও চাঁদা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, কে কি বলে না বলে সেটার দায়ভারতো আমি নিতে পারবনা,কাঠ পুড়ানোর বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে,ফলজি হোক বা বনজি হোক,কোন ধরনের কাঠ পুড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।সরকারি প্রোগ্রামের জন্যে সরকারি ভাবে কোন বরাদ্দ দেওয়া হয় কিনা?সরকারি বরাদ্দ থাকলে ইট ভাটা কতৃপক্ষের কাছ থেকে সরকারি দিবস উদযাপনে চাঁদা নেয়ার কারণ কি?তা জানার অপেক্ষায় সচেতন মহল।আর সরকারি দিবসের নামে ইট ভাটা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে অবৈধ ইট ভাটা কার্যক্রম চালানো এবং তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দেখেও না দেখার মতো নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করাতে বিব্রত হয়ে পড়েছে সচেতন মহল।
এছাড়াও বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় সাতকানিয়া কেওচিয়ার চেয়ারম্যান আবু ছালেক ও তাঁর ভাগিনা আনছারের মালিকানাধীন ডিবিএম ব্রিক ফিল্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে জবর দখলের অভিযোগ,গুনাগরী এলাকার ব্যবসায়ী হাসান কামালসহ স্থানীয়রা বলেন,আবু ছালেক চেয়ারম্যান এবং তাঁর ভাগিনা আনছার উল্লাহ প্রভাব খাটিয়ে নিরহ মানুষের কৃষি জমি জবর দখল করে ইট ভাটা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে,এবিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে জমি মালিকরা একটি পিটিশনও দায়ের করেছে, কিন্তু প্রভাবশালী আবু ছালেক চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাঠ পুড়ে এবং কৃষি জমি ধ্বংস করে এই ইট ভাটা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান স্থানীয় জমি মালিকরা।বিষয়টি জানতে আবু ছালেক চেয়ারম্যানকে একাধিক বার ফোন দিও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সাথে যোগাযোগ করার একাধিকবার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। একুশে মিডিয়ার সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment