রামগঞ্জ
(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:ই-একুশে মিডিয়া
রামগঞ্জে যুবলীগ নেতা মাসুদ হত্যার প্রধান আসামী জাকির হোসেন মাস্তান প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপর দিকে মামলার বাদী মাসুদের স্ত্রী আঁখি আক্তারকে মামলা তুলে নেওয়া জন্য হুমকী ধমকী দিচ্ছে। এতে বর্তমানে বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে। নিহত মাসুদ নয়নপুর গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে এবং ইছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটির সদস্য ছিল।
জানা যায়, বর্তমানে মাসুদের স্ত্রী দুইটি শিশু সন্তানকে নিয়ে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে মামলার বাদীসহ এলাকাবাসী এসব অভিযোগ করেন। সাধারন মানুষের মাঝে চরম ভয় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
মামলা বিবরন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচনে ইছাপুর ইউনিয়নের নয়নপুর ভোট কেন্দ্র দখল করতে বাধা দেওয়ায় যুবলীগ নেতাকে আসামীরা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্নক আহত করে। পরে স্থানীয় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকা অবস্থায় ১১ দিন পর ৮ ডিসেম্বর মারা যায়। এ ঘটনায় মাসুদের স্ত্রী জাকির হোসেন মোস্তানকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দেন। পুলিশ দীর্ঘ ছয় মাস তদন্ত করে প্রধান আসামীসহ সকল আসামীকে বাদ দিয়ে রির্পোট দেন। এতে মামলার বাদী রির্পোটের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত নোয়াখালী পিবিআইকে তদন্ত দেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই নোয়াখালীতে তদন্তানাধীন আছে।
স্থানীয় মোঃ আজিজুর রহমান, মাহফুজ আলম বলেন, মাসুদ হত্যা প্রায় দুই বছর হয়েছে, এখন আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং আসামীরা প্রকাশ্য চলাফেরা করছেন। মাসুদের স্ত্রীকে হুমকী ধমকী দেয়। এতে এলাকাবাসী আতংকিত । প্রশাসনের কাছে মাসুদ হত্যার আসামীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবী করছি।
মামলার বাদী মাসুদের স্ত্রী আঁখি আক্তার বলেন, মামলার প্রধান আসামী জাকির মোস্তান থানার সামনে ২শত গজের মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে এবং প্রায় এলাকায় এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আমাকে ও ছোট দুইটি শিশু সন্তানদেরকে হত্যা ও গুম করার হুমকী ধমকী দিচ্ছে। আমি এ শিশুদের নিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে খুবকষ্টে মধ্যে চলছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মামলা প্রধান আসামী জাকির হোসেন মোস্তানসহ সকল আসামীকে গ্রেফতার করে বিচারের দাবী করছি।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, মামলাটি বর্তমানে নোয়াখালী পিবিআইতে তদন্তাধিন আছে। তাই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নোয়াখালী পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ উদ্দিন বলেন, মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও বাদীকে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। তদন্তে কেউ দোষী প্রমানীত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment