রামগঞ্জে কৃষি জমির মাটি কাটা ও অবৈধ ট্রলি চলাচলে অভিযোগ

মোঃ ছায়েদ হোসেন, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:

ই-একুশে মিডিয়া

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ  ট্রলি চলাচল ও ফসলি জমি খনন করে এবং টপসয়েল কেটে নিতে ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার অভিযোগ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্দেশনা মানছেন না ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু । গত ২৬ জানুয়ারী মাসিক আইন শৃংখলা ও উন্নয়ন সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা উপজেলার কোথায় ট্রলি চলাচল ও ফসলি জমির টপসয়েল কাটলে বন্ধ করে খবর দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

দেহলা, শাহারপাড়া,ভোলাকোট,  রাজারামপুর, নাগমুদ অত্র  ইউনিয়নের সব কয়টি ফসলি মাঠে এ চিত্র দেখা যায়।  এ সব মাঠে বর্তমানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কৃষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছে। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়া শঙ্কা দেখা দিয়েছ।

সরেজমিেেন গিয়ে দেখা যায়, ভোলাকোট ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের ১টি ইটভাটাসহ বৈধ অবৈধ মোট ৭টি ইটভাটা রয়েছে।  এ সব ইটভাটার মাটির চাহিদা মিটাতে ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা ভেকু মেশিন নির্বিচারে ফসলি জমির টপসয়েল, ১৫/২০ ফুট পুকুর খনন করে নিষিদ্ধ ট্রলি দিয়ে নিয়ে যায়।

দেহলা, শাহারপাড়া ও ভোলাকোট গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, চেয়ারম্যানের নিজেই ১টি  ইটভাটা মালিক।  তাঁর সহযোগিতা ফসলি জমি গুলি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

ভোলাকোট  ইউনিয়নের  আরিফ হোসেন  জানান,  চেয়ারম্যান, ইউএনও, ডিসি সবার কাছে আবেদন করছি, কোন লাভ হয় নাই। বরং ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যাবসায়ীদের ভয়ে আমাদের দিন কাটতে হচ্ছে। 

ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু বলেন, আমার আল মদিনা ইটভাটায় আজ ২/৩ বছর যাই না। আমার ১টি ট্রলি সেটা বর্তমানে বন্ধ। অন্যদেরকে সহযোগিতার করা কথাটা মিথ্যা, বরং আমি ট্রলি চলাচল করতে দেখলে সাথে সাথে আটক করে রাখি। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে ছেড়ে দিতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, চেয়ারম্যানদেরকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে, তারপর কোন চেয়ারম্যানের ট্রলি ও ফসলি জমির টপসয়েল কেটে নিতে সহযোগিতার অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।