সাইদ সাজু, তানোর থেকে:ই-একুশে মিডিয়া
রাজশাহীর তানোর উপজেলা প্রতিবন্ধী সংগঠনের সভাপতি শারিরিক প্রতিবন্ধী সামসুল আলমের উপর হামলা ও পিটিযে রক্তাক্ত জখম করেছেন মুন্ডমালা পৌর সভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলা আ' লীগ সাবেক সভাপতি রাব্বানী এবং মুন্ডমালা পৌর সভার বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমানসহ তার দলবল।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে মুন্ডমালা বাজারের পূর্ব দিকে মহিলা কলেজে যাওয়ার রাস্তার মোড়ের উপর। এসময় খবর পেয়ে মুন্ডমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা প্রতিবন্ধী সামসুলকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, ‘তানোরের উন্নয়ন’ নামের একটি ফেগ ফেইসবুক আইডিতে মুন্ডমালা পৌর সভার সাবেক মেয়র ও তানোর উপজেলা আ' লীগ সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী ও ভাতিজার ছবিসহ কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি পোষ্ট করেন।
এরই সুত্র ধরে সামসুল সন্দেহের বসে তানোর উপজেলা আ' লীগ সাবেক সভাপতি ও মুন্ডমালা পৌর সভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ও মুন্ডমালা পৌর সভার বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান তার দলবল নিয়ে প্রতিবন্ধী সামসুল আলমের উপর হামরা চালিয়ে তাকে বেধড়ক ভাবে কিল ঘুষি লাথি মেরে রক্তাক্ত করেন।
এবিষয়ে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি বাংলাদেশ জাতীয় তৃনমুল প্রতিবন্ধী সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও তানোর উপজেলা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি সামসুল আলম বলেন, ওই পোষ্ট বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, পরিকল্পীত ভাবে আমার উপর হামলা চালিয়ে আমাকে মারপিট করা হয়েছে।
এব্যাপারে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা আ' লীগ সাবেক সভাপতি ও মুন্ডমালা পৌর সভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি সামসুলকে একটি ধাপ্পর মেরেছি, ওই সময় জনতা উত্তেজিত হয়ে তাকে মারপিট করেছে বলেও জানান তিনি।
এনিয়ে মুন্ডমালা পৌর সভার মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, সামসুল আলম বেশকিছু ফেগ ফেসবুক আইডি খুলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ কথা লিখে পোষ্ট দিয়ে আসছে। একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
‘ তানোরের উন্নয়ন’ নামের একটি ফেসবুক আইডিতে গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাতিজার ছবিসহ আপত্তিকর কথা লিখে পোষ্ট দেয়ায় নেতা-কর্মিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করেছে। তবে, তিনি তাকে মারেননি বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, এবিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment