মোহাম্মদ
ওয়াজেদ,
বাঁশখালী প্রতিনিধি:ই-একুশে মিডিয়া
ভুক্তভোগী ভিকটিম ১১ বছর বয়সের এবং তার সৎ মায়ের সংসারে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী এলাকায় বসবাস করত। ভিকটিমের বাবা সাগরে মাছ ধরার কাজ করত এবং প্রায় সময়ই ১৫/২০ দিন সাগরে অবস্থান করতো। ভিকটিমের সৎ মায়ের সাথে আসামী মোঃ আরাফাত এবং সাহাদাত হোসেন এর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ভিকটিমের বাবা যখন সাগরে মাছ ধরতে যেত তখন আসামীরা প্রায় সময় ভিকটিমদের বাড়িতে আসত। গত ০২-০৪ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে ভিকটিমের জেলে বাবা যখন মাছ ধরার জন্য সাগরে অবস্থান করছিল সেই সুযোগে আসামী আরাফাত ও সাহাদাত ১১ বছরের নাবালিকা ভিকটিমকে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখে ভিকটিমের দাদী তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ভিকটিমকে অসুস্থ্য অবস্থায় দেখে ভিকটিমের দাদীর সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম তখন তার দাদীকে গণধর্ষণের কথা বর্ণনা করে। ভিকটিমের দাদী ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করে জানতে পারেন ভিকটিম গর্ভবতী।
পরবর্তী ভিকটিমের বাবা বাড়িতে এসে উক্ত ঘটনা জানতে পারে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় ০৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-৩৪/৪৮৮, তাং-২২ নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯ (৩) / ৩০ । উক্ত গণধর্ষণের মামলা দায়ের এর পর থেকে অভিযুক্ত আসামীরা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে পলাতক থাকে। মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায়, মামলা রুজুর পর থেকে মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরধারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, উক্ত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ২১৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামী সাহাদত হোসেন (৩৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-প্রেমাশিয়া, থানা- বাঁশখালী, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলা জানা যায়। একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকুন ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment