সবুজ সরকার, বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:ই-একুশে মিডিয়া
আদালতের স্থিতাবস্থা জারী থাকা স্বত্বেও সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নূরুল ইসলাম নামে এক কৃষকের জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগরের এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ওই কৃষক পরিবারের নারীসহ তিনজনকে মারপিট করেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলকুচি উপজেলার খাস সোনামুখী এলাকায় নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন কৃষক নুরুল ইসলাম ও তার পরিবার।
নুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের ২০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আমার কেনা সম্পত্তি জোরপূর্ব দখলের পায়তারা করা হচ্ছে। আদালতের স্থিতাবস্থা থাকলেও তারা ওই সম্পত্তিতে ঘর তুলতে যায়। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় পুরো পরিবার নিয়ে আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চার দফায় ৩৫ সোনামুখী মৌজার বিভিন্ন দাগে জোতদার অচিন্ত, শ্রীকান্ত, ভোলা, খোকন, সুশান্ত, লিটন, মনো ও শ্যামলের কাছ থেকে ৩৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। জমির খাজনা-খারিজ করে জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে রয়েছি। এ অবস্থায় ২০২১ সালের শেষের দিকে একই মৌজা থেকে মঙ্গল, আনন্দ, কৃষ্ণ ও সাধনের জমি কেনেন যুবলীগ নেতা আবু হান্নান সিদ্দিকীর ছোট ভাই পার সগুনা গ্রামের ইমরান হোসেন। কিন্তু তিনি এসে আমার কেনা ও দখলীয় সম্পত্তি দাবী করেন। ওই জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকিও দেন। এ বিষয়ে আমি আদালতে আবেদন করলে বিচারক ওই জমির উপর স্থিতাবস্থা জারী করেন। এ অবস্থায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে যুবলীগ নেতা আবু হান্নান সিদ্দিকী ও ইমরানের নেতৃত্বে লিটন, আব্দুল লতিফ সরকার, সাবেক মেম্বর রানা, আমিরুল, শহীদুল, সাত্তার মাস্টার, তোতা ভুইয়া, কাইয়ুমসহ ১৫/২০ জনের একটি দল জোরপূর্ব আমার সম্পত্তি দখলের জন্য সেখানে বসতঘর নির্মাণকাজ শুরু করে। বাঁধা দিতে গেলে আমার ছোট ভাই হায়দার আলী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সালমা ও আসমাকে বেধড়ক মারপিট করে। প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় কারও কথাই শোনেনা। জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস হয়। শালিসে বিচারকরা আমার পক্ষে রায় দিলেও তা মানেন না তারা। সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নিজে শালিস করেছেন। তার কথাও মানেন নি আবু হান্নান সিদ্দিকী গং।
নিজেকে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের ২০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক দাবী করে আবু হান্নান সিদ্দিকী বলেন, আমরা যে নুরুল ইসলাম যে দাগে জমি কিনেছেন সেই দাগে দুই ভাইয়ের ৬.৭৫ শতাংশ করে মোট সাড়ে ১৩ শতাংশ রয়েছে। বরং আমাদের কেনা সম্পত্তিই দখল দিতে চাচ্ছে না নুরুল ইসলাম। আমরা সেখানে টিনের বেড়া দিলেও আদালতের স্থিতাবস্থা অমান্য করে বেড়াগুলো খুলে নিয়ে গেছে নুরুল ইসলাম গং। একুশে মিডিয়া’র সঙ্গে থাকার ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment