ওসমান হোসাইন, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম:ই-একুশে মিডিয়া
ঐতিহ্যবাহী কালারপোল হাজী মোঃ ওমরা মিয়া চৌধুরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যা়লয় প্রথম পূনর্মিলনী শনিবার (৪ মার্চ ) সকালে অনুষ্টিত হয় বিদ্যাবলয় প্রাঙ্গণে সকাল থেকে সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বর্ণাঢ্য র্যালি এলাকায় প্রদক্ষিন করে অনুষ্ঠাস্থল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সকাল ৮টায় জাতীয় সংগীত পতাকা উত্তোলন মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয় অনুষ্ঠানস্থল।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথি বক্তব্য, সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান, স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ছিল অত্র স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক আব্দুল গফুর স্যা র। সদস্য সচিব মোঃ সোলায়মান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী,এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর মহিউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য ও স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক আহমেদ বি কম, প্রাক্তন ছাত্র এস. এম মামুন মিয়া, শিকলবাহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলাইমান তালুকদার, পাথরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবের আহমেদ, কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার ফারহানা মমতাজ, সংগঠক ও প্রাক্তন ছাত্র আব্দুস সাত্তার রনি, বোরহান উদ্দিন ফারুকী, পুণর্মিলনী অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী দিদার হোসেন, পুণর্মিলনী পর্ষদ সদস্য এডভোকেট গিয়াসউদ্দিন পারভেজ, ইকবাল হোসেন, মোঃ হাশেম, মুজিবুল হক, মোঃ ফারুক হোসেন, আব্দুল আল মামুন, মাস্টার মনছুর আলম, জাবেদ উদ্দিন জয়, জাবেদ উদ্দিন চৌধুরী, এম এ রহিমসহ প্রত্যেক ব্যাচের প্রতিনিধিবৃন্দ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কালারপোল হাজী মোহাম্মদ ওমরা মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান আজ ৪ মার্চ শনিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বলেন-এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ১৯৫১ সালে মরহুম হাজী মোঃ ওমরা মিয়া চৌধুরী এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। যা এ অঞ্চলের প্রাচীন ও আলোকবর্তিকা হিসাবে সর্বজনের নিকট সুপরিচিত। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আজ শুধু কর্ণফুলীর নয় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এ সময় দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখায় ৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদাণ করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করছে ১৯৬৪ সাল থেকে শুরু ২০২২ ইং সাল পর্যন্ত প্রায় ১২-১৫শত প্রাক্তন শিক্ষার্থী। এরই মধ্যেই মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। বসন্ত যেভাবে সাজিয়েছে প্রকৃতিকে, সেভাবেই প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তুলেছে নতুন আঙ্গিকে। কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহ্বায়ক কমিটির গত চার মাসের নিরলস চেষ্টায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই মিলনমেলা। প্রতিটি মানুষের জীবনে বুকের ভিতর একটি অমলিন স্মৃতি হয়ে লালিত হতে থাকে জীবনের শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত। জীবনের প্রতিটি ধাপে মনে পড়ে কৈশোরে ফেলে আসা সেই প্রিয় চেনা মুখ, প্রিয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, নিজ আঙ্গিনা থেকে বিদ্যালয়ে আঙ্গিনা পর্যন্ত নানান স্মৃতি। সেই স্মৃতির টানে সাড়া দিতে পুনরায় একত্রিত হয়েছে বিদ্যালয় এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
No comments:
Post a Comment