একুশে মিডিয়া, ডেস্ক রিপোর্টই-একুশে মিডিয়া
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অস্ত্রধারী এক অপরাধীকে আটকের চেষ্টাকালে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে চকরিয়া থানার এসআইসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় দুর্বৃত্তরা এক পুলিশ সদস্যের অস্ত্রও ছিনিয়ে নেয়। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৫ নারী-পুরুষকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোহছনিয়াকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।
আহত তিন পুলিশ হলেন, চকরিয়া থানার এসআই শামীম আল মামুন, কনস্টেবল তারিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ মামুন। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আটকদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার এবং পুলিশ সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, চকরিয়ায় থানার আওতাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল মামুনের নেতৃত্বে তিন পুলিশ সদস্য নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিয়মিত টহল দিচ্ছিল। এ সময় সড়কের পাশে ওই এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে রাকিব (২০) নামে এক যুবককে ধারালো দা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা আটকের চেষ্টা চালায়। তখন সে ধাওয়া খেয়ে গ্রামের ভেতর চলে যায়। এক পর্যায়ে রাকিব চিৎকার দিলে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন দা-ছুরি, লোহার রড নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান কেড়ে নেওয়া হয়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, হামলার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
No comments:
Post a Comment