রামগঞ্জ (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি:ই-একুশে মিডিয়া
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পেীর শহরে শনিবার বিকেলে বিএনপি-আ‘লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম লেদু বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দাযের করে। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে পৌর কাউন্সিলার জনি মজুমদার ও স্বেচছাসেবক দল কর্মী আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।
সুত্রে জানায় রামগঞ্জ পৌর শহরে শনিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নন্দনপুর সড়কে অবস্থান কর্মসুচি পালন করে। কর্মসুচিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ৩-৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ ও ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অপু মাল ও সাধারণ সম্পাদক অভি, শেখ ফরিদ, রাসেল, আশিক, বিএনপি কর্মী আব্দুর রহমান, রামগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই সফিকুল ইসলামসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম অপুমাল বলেন, ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশে হামলা চালায় ছাত্রদল বিএনপি। এসময় তারা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের গাড়ী ভাংচুর করে তাদের মারধর করে। এতে ছাত্রলীগের ৮জন নেতা-কর্মী আহত হন।
উপজেলা যুবদলের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন পলাশ জানান, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ। এতে আমাদের দলীয় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক এমদাদ জানান, রামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেদু মাল শনিবার রাতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে ভাংচুর ও বিস্ফোরনের দায়ে এজাহার দায়ের করলে মামলা রুজু করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী আব্দুর রহমান ও পৌর কাউন্সিলার জনি মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে।
No comments:
Post a Comment