একুশে মিডিয়া ডেস্ক রিপোর্ট:ই-একুশে মিডিয়া
হায়াতের মালিকও আল্লাহ, মউতের মালিকও আল্লাহ
মৃত্যুটা কি ওমানে হয় নাকি দেশে হয় সেটা আল্লাহ ভালো জানে।
আমার আজকের পোস্ট টি মা-বাবার অবাধ্য হয়ে পতব্রস্ট হওয়া সন্তানদের, শুধু মাত্র তাদের জন্য। আমি একজন শ্রমিক কিন্তু বড় বড় পাহাড় সমপরিমান হাজার হাজার আমার সত্রু আছে আল্লাহর রহমতে আর মা-বাবার দোয়ায় আমি এখনো বেঁচে আছি, আলহামদুলিল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
এপ্রিল মাস ২০২৩ সাল এর শুরুতে হলো সর্দি, কাশি, জ্বর, মাতা ব্যাথা পুরা শরির চাবানি।
# মাসের মাঝখানে হলো এলার্জি । আল্লাহু আকবর এমন এলার্জি হলো আমিতো দূরের কথা, আমার বাবাও দেখে নাই এরখম এলার্জি !
সেই এলার্জি অসুখের সমায় খুব কম মানুষে আমাকে চিনতে পেরেছে
একই মাসের শেষে ঈদুল ফিতরের পরদিন থেকে প্রথম বাবের মতো দেখা দিলো পেসার বার্তি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকাপ সেরে ঔষধ খেতে না- খেতে পুনরায় শুরু হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, সমস্ত শরির ব্যথা
#মূল কথা হলো মউত কে ভয় করিনা।
কুল্লু না-ফসিন যা-ইকাতুল মউত
সেই কাঙ্ক্ষিত মউত আসবেই আসবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই,মৃত্যু সকলের জন্য অবধারিত।
মউত ওমানে হলে হবে আর দেশে হলে হবে ।
ভয়টা শুধু ওখানে
প্রবাসের পরিশ্রমের হালাল উপার্জন নিজের সাধ্য মোতাবেক একটি ছোট খাটো ঘর নির্মাণ করার কারনে তিন লক্ষাদিক টাকা ঋণী হেয়ে আছি।
এটাই আমার ভয় 😂
আমার আব্বা মরহুম জাকের আহমদ মৃত্যুর কিছু দিন আগে আমাকে ডেকে বলছিলো অপুত আমিতো বেশী দিন বাছবোনা হয়তো সামান্য কয় দিন বাচবো!
কয়েকজন মানুষে আমার থেকে কিছু টাকা পায় পারলে ঐ টাকা গুলি দিয়ে দিস।
আল্লাহর রহমতে আব্বার দেওয়া নামের সবগুলি একসাপ্তার মধ্যে পরিশোধ করে দিলাম,
আব্বা কে বল্লাম আব্বু আপনার কথা অনুজায়ি সবার টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি, তখন আব্বা কথা বলার শক্তি হারিয়ে পেলেছে ইশারায় বলছিলো!
এদিখে আয়,আমি গেলাম ওনার মুখের সাথে কি বলে শুনা যায় কিনা, আমার আব্বা আস্তে আস্তে ওনার হাতটা আমার মাতার দিখে দিলো আমি বুঝতে পারলাম
ওঁনি আমাকে দোয়া করতেছে
#সেই রখম পরের হক ও হালাল পরিচয় দেওয়া একজন গর্বিত বাপের সন্তান আমি।
#ঠিকেই আব্বার কথা রাইট কিছু দিন যেতে নাযেতেই অর্থাৎ গত ২০০৬ সালের ৬ ই জুন আনুমানিক আসরের টাইমে আমার আব্বা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আমিতো শ্রমিক প্রতিদিন গাড়ী চালিয়ে যা ইনকাম হয় তা দিয়ে পরিবারের সকল প্রকার খরচ পাশাপাশি আব্বার ডাক্তার দেখানো ঔষুধ সহ ইত্যাদি খরচ সামলাতে হয়।
আল্লাহর কি লিলা খেলা বুঝলামনা
যে দিন আব্বা দুনিয়া থেকে চিরো বিদায় নিলো সেই দিন আব্বার মৃত্যুর পুর্বে সাজ্জাদ কোম্পানির ভাড়ায় চালিত নতুন সিএনজি টা গুনাগরীর ফরিদ ড্রাইভার কে বদলি দিয়ে বাড়ীতে আসলাম, দেখি আমার বড় ছেলে মোঃ হামিদ হোসাইন (নয়ন) তখনকার আমলে ছোট শিশু ঘরের ডেয়ালায় চেহেরা অন্ধকার করে বসে আছে।
আমি জিগ্যেস করলাম কিরে নয়ন কি হয়েছে তোমার চেহেরা অন্ধকার কেন,সে চুপ চাপ কোন কথা নেই
আমার আওয়াজ শুনে ঘর থেকে হাও মাও করে কান্নার আওয়াজ আসলো বুঝতে পারলাম আব্বা আর নেই, আম্মা বল্ল অপুত আয় ঘরে আয় তুর বাপেরে উত্তর দক্ষিণ কর, আমি বল্লাম আম্মা কি বলেন
আম্মা বলে অপুত ওবা এখন তুর বাপের জান গেছে যে
আমি একজন গরিব অসহায় সিএনজি শ্রমিক হিসেবে বুঝতে পারলাম এটা আল্লাহর রহমত, আব্বার মৃত্যুর সংবাদ কারও থেকে বলতে হয় নাই,নিজেই হাজির।
বাড়ীতে আমি ছাড়া পুরুষ বলতে আর কেহও ছিলোনা
যাই হউক পরেরদিন দাফন শেষ করে মৃত্যুর পরে যা আয়োজন করা প্রয়োজন তা করলাম।
তখনও আমি গুনাগরী সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, সবসময় গুনাগরী খাসমলে আমার অবস্থান ছিলো।
#কিছু দিন পরে খাসমহলে আমাকে দেখে এক দ্রলোক
একটি বাই সাইকেল থেকে নেমে (আমার স্পষ্ট স্বরন আছে রাত আনুমানিক 10 টার পরে) রামদাস মুন্সির বাজারের ততকালীন আমলের সুনাম ধন্য ব্যবসায়ী, বাড়ী পশ্চিম গুনাগরী,
ওয়া ভাইপুত মালেকার বাপর পোয়া ইক্কা আয়ু
আমি এসে আচ্ছালামু আলাইকুম বল্লাম ওনি সালামের জবাব দিয়ে বলছে
#ভাইপুত তোয়ারে এক্কান হতা হইলে গুস্সা অবানা হন।
আমি বলছি না, আংকেল কেনো রাগ করবো।
কয় বাজি তোয়ার আব্বারতুন আই এক্কান লুঙ্গির টাকা পাই
তুই দিলে পাইয়ুম না দিলে আর করার কিছু নেই।
তুর আব্বা মরে গেছে।
আমি ওনাকে বল্লাম আংকেল সেই বিষয়ে আপনার মনে কষ্ট তাকলে আমার আব্বা কে ক্ষমা করে দিবেন।
আংকেল ধরেন আপনার লুঙ্গির টাকা নেন।
সেই বাপের ছেলে আমি
মনের দুঃখ টা এই জায়গায় হঠাৎ আমার মৃত্যু হয়ে গেলে আমার কর্জগুলী কে পরিশোধ করিবে।
পরিশোধ করার মতো উত্তরসূরী আমিতো তৈয়ার করেতে পারিনাই!
কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাঠগড়ায় কি জবাব দিবো, সেইটা আমার চিন্তা আর চেতনা।
উক্ত ঋণ গুলি পরিশোধ করতে পারি সেই আসায়
মহান আল্লাহর সাহায্য এবং আমার সকল বন্ধু বান্ধবদের কাছে সুস্থতার জন্য দোয়া চাই, আমিন।
আল্লাহ আমার মরহুম আব্বাজান কে জন্নাতুল ফেরদৌস দান করুন,আমিন ইয়ারাব্বাল আলামিন।
বিশেষ করে ঈদের পর দিন থেকে মনে প্রচুর কষ্ট তাই লিখলাম।
মোহাম্মদ হাছান ওমান নামে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ১লা মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ পোস্ট করেন উপরের লেখা গুলোভ
ওমান প্রবাসী
মোহাম্মদ হাছান
সাবেক সাধারণ সম্পাদক: বাঁশখালী অটোরিক্সা (সিএনজি) পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন।
স্থায়ী ঠিকানা- পূর্ব কোকদন্ডী (হাছিয়া পাড়া), বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।
No comments:
Post a Comment