সাইদ সাজু, তানোর থেকে:ই-একুশে মিডিয়া
নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২ বছরে পৌর এলাকায় দৃশ্যমান সব উন্নয়ন করে পৌরবাসীকে চমকে দিয়েছেন মুন্ডমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান। তার এসব দৃশ্যমান উন্নয়নে পৌরবাসী উচ্ছাসিত। তিনি নির্বাচিত হওয়ার ২ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫ টি আরসিসি রাস্তা নির্মান, ৬৮ লাখ টাকা ব্যায়ে গোল চত্বর নির্মান এবং প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে পৌর ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়নের ডেকোরেশন করেছেন।
প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিশুদ্ধ খাবার পানির পাম্প স্থাপন করে পৌরবাসীর পানির সমস্য দুর করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। একই সাথে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান অনুদান প্রদান করায় সকলের কাছে তার ক্লিন ইমেজ ফুটে উঠেছে। পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়া মহল্লায় প্রতিবেশীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ সরেজমিনে গিয়ে গ্রামের সকলকে নিয়ে সেখানেই আপোষ করে দেয়ায় এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন মেয়র সাইদুর রহমান।
মেয়র সাইদুরকে নিয়ে পৌর বাসীর মধ্যে এক ধরনের পজেটিভ ধারনার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরবাসীরা বলছেন, অন্যরা যা করতে পারেননি মেয়র সাইদুর মাত্র ২ বছরে তা করেছেন। দৃশ্যমান এসব উন্নয়ন করে সকলকে চমকে দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকায় ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫ টি আরসিসি রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। এর মধ্যে বাগমারা পাড়ায় ৮৫০ মিটার আসসি রাস্তা নির্মান সম্পূর্ণ হয়েছে। টকটকিয়া পাড়ায় ৬৫০ মিটার আরসিসি রাস্তা নির্মান চলমান।
সাত পুকুরিয়া পাড়া ভিতরে ২৮০ মিটার আরসিসি রাস্তার নির্মান কাজ সম্পূর্ন করায় দূর্ভোগ কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসী মধ্যে। অপর দিকে চড়কডাইং পাড়ার ভিতরের রাস্তাটির ৪৫০ মিটার আরসিসি রাস্তা সম্পূর্ন হয়েছে।
চুনিয়া পাড়ায় ১৮০ মিটার আরসিসি রাস্তার নির্মান করায় জনগনের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরণ হওয়ার পাশাপাশি গ্রামবাসীর দূর্ভোগ করেছে। পৌরবাসী বলছেন এই রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয়েছিলো না।
ফলে, চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হতো ওই সব পাড়া মহল্লার জনসাধরনকে। বর্তমানে আরসিসি রাস্তা তৈরির ফলে দৃশ্যমান উন্নয়নের রুপ ফুটে উঠায় জনসাধরনের মধ্যে উৎফুল্লতার পাশাপাশি স্বস্তি ফিরেছে। এর আগে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে পৌর ভবন সংস্কার করে দৃশ্যমান ডেকোরেশন করে আধুনিকায়নের রুপে সাজানো হয়েছে পৌর ভবন। যা অন্য যে কোন পৌর সভার চাইতে অনেক আধুনিক ও দৃশ্যমান।
পৌর এলাকার অপূর্ব হালদার বলেন, মুন্ডমালা বাজারের তিন মাথার মোড়কে গোল চত্বর করায় জনদূর্ভোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি এইটি এখন এলাকার সব চাইতে দৃশ্যমান উন্নয়ন। যা রাতে বিদ্যুতের সাদা আলোয় পুরো এলাকা আলোকিত হয়ে থাকে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গয়ানাথ বলেন, নির্বাচিত হওয়ার মাত্র ২ বছরের মধ্যে এধরনের দৃশ্যমান উন্নয়ন করায় পৌর বাসীর কাছে মেয়র সাইদুর রহমানের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। ফলে মুন্ডমালা পৌর এলাকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
মুন্ডমালা পৌর এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, মাত্র ২ বছরে এতো উন্নয়ন করবেন আমরা তা কল্পনাও করিনি। এধরনের দৃশ্যমান উন্নয়ন করে পৌর বাসীকে চমকে দিয়েছেন মেয়র সাইদুর।
সাধারণ জনগন বলছেন, মেয়র সাইদুর যেমন পরিশ্রমি তেমনি সদা মিষ্টিভাষী। করোনার মহামারীর সময়ে পৌর বাসীকে দান অনুদান দিযে যে জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছিলেন। মেয়র হয়ে উন্নয়ন শুরু করায় আমরা খুশি।
করোনার মহামারীতে পৌর বাসীর মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও দান অনুদান দিয়ে পৌর বাসীর হৃদয়ের স্থান করে নিয়েছিলেন
পৌর আ' লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান। গত পৌর নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জগ প্রতীক নিয়ে মেযর নির্বাচিত হন তিনি।
মুন্ডমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন, জনগনের সুখে দুখে সর্বদা পাশে আছি এবং থাকবো জানিয়ে তিনি বলেন মুন্ডমালাকে দেশের একটি আধুনিক পৌর সভা গঠনে বৃহত পরিকল্পনা গ্রহন করে বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মুন্ডমালা পৌর এলাকার সবগুলো রাস্তা আগামীতে আরসিসি রাস্তায় রুপান্তরিত করা হবে। মুন্ডমালা হাটকে দৃশ্যমান ও পরিচ্ছন্ন হাট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment