স্টাফ রিপোর্টার:ই-একুশে মিডিয়া
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা গ্রামে শুক্রবার (১২ মে) সকাল ১১টায় মা মর্জিয়া বেগম (৫৮) কে তার বড় ছেলে ওমর ফারুক মারধর করে আহত করেছে। তিনি বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে মা মর্জিয়া বেগম বাদি হয়ে শুক্রবার বিকালে বাঁশখালী থানার একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এর আগে গত ৩ মে বুধবারও মারধর করায় মা মর্জিয়া বেগম বাদি হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাইনুল ইসলামের আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলা আদালত আমলে নিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে সমন জারী করেছেন। ওই মামলা উঠিয়ে নিতে শুক্রবার ফের মারধর করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। মা মর্জিয়া বেগম বলেন, আমার স্বামী ১০ বছর আগে মারা যান। ওমর ফারুক ও হামিদুল হক নামের আমার দুই ছেলে আছে। আমি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়ার চাকরি করতাম। অবসর নিয়ে বৃদ্ধ বয়সে বাড়িতে থাকতে চাইলে এবং দুই সন্তানকে সমানভাবে জায়গা ভাগ করে দেয়ার চেষ্টা করায় আমার বড় ছেলে ওমর ফারুক, তার স্ত্রী পারুল আক্তার, শ্যালক মুছা খান সিকদার, বাহার সিকদার ও শ্বশুড় আবুল কালাম এক জোট হয়ে আমাকে ব্যাপক হারে মারধর করে এবং প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।
প্রথমতঃ গত ৩ মে এভাবে আক্রমণ করলে আমি আদালতে মামলা করি। ওই মামলায় আদালত আমার ছেলে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সমন জারী করে। ওই মামলা উঠিয়ে নিতে সকলে মিলে আবারো শুক্রবার ১২ মে সকাল ১১টায় হত্যার উদ্দেশ্যে গলাচিপে ধরে ব্যাপক মারধর করে। ওই সময় আমার ছোট ছেলে হামিদুল হক আমাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করেছে।
এ ব্যাপারে আমি বাঁশখালী থানায় এজাহার দায়ের করেছি। জুলুমবাজ ছেলে ও তার শ্বশুড় পরিবারের কাছ থেকে আমি বাঁচতে চাই। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, এজাহার পেয়েছি। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments:
Post a Comment