সাইদ
সাজু,
তানোর
থেকে:ই-একুশে মিডিয়া
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ ( ইউপির) হলরুমে দরিদ্রদের মাসিক ভিজিডির চাল বিতরন না করে মজুদ করে রেখেছেন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন। ধনীদের নাম দেওয়ার কারনেই আসেন নি চাল নিতে বলে মনে করছেন ইউপির দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে করে চেয়ারম্যানের এমন কান্ডে এলাকায় বইছে সমালোচনার ঝড়, সেই সাথে তালিকা যাচাই বাছায়ের জন্যও তদন্তের জোরালো দাবি তুলেছেন ইউপি বাসী।
বুধবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে চালের বস্তা রাখা আছে। হলরুমের ভিতরের পূর্বদিকের দেয়াল সংলগ্ন ১৫ বস্তা চাল রাখা হয়েছে। অনেক বস্তা ছিড়ে চাল পড়ে আছে মেঝেতে। পড়ে থাকা চালে আবর্জনা প্রচুর।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকৃত দরিদ্রদের তালিকা করা হয়নি। তালিকা হয়েছে দলীয় বিবেচনায়। যারা প্রকৃত দরিদ্র তারা সঠিক সময়ে চাল নিয়ে যান। কারন তাদের পেটে ক্ষুধা আছে। তাদের চালের প্রয়োজন। যে সব চাল পড়ে আছে হয়তো ধনীদের হবে। তাছাড়া চাল পড়ে থাকার কথা না। তারা ইচ্চেমত তালিকা করার করনেই চালের এ অবস্থা।
সুত্র মতে, মাসিক ভিজিডির চাল বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার থাকতে হবে। কিন্ত বিতরনের সময় ট্যাগ অফিসার ছিলেন না।
এদিকে নিয়ম বহির্ভুত ভাবে চেয়ারম্যান মতিন পরিষদে এসি ব্যবহার করে থাকেন। অথচ পরিষদে এসি ব্যবহারের কোন এখতিয়ার নেই, এটা সম্পূর্ন রুপে ক্ষমতার অপব্যবহার।
চেয়ারম্যান মতিন বলেন, গত সোমবারে চাল বিতরন করা হয়েছে। ১৫ জন ব্যক্তি না আসার কারনে পরিষদে আছে। চালের বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে পড়ে আছে এবং এভাবে চাল রাখা যায় কিনা ও ট্যাগ অফিসার ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি তাদেরকে ডেকে আনব, সমস্যার কারনে ট্যাগ অফিসার আসেননি বলে দাম্ভিকতা দেখান তিনি।
ট্যাগ অফিসার উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন চাল বিতরনে থাকতে পারিনি, পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। আপনার কোন প্রতিনিধি ছিল কিনা ও মাস্টার রোল জমা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিনিধি ছিল না এবং মাস্টার রোলও জমা দেয়নি। ১৫ বস্তা চালের মধ্যে কয়েক বস্তা ছিড়ে আবর্জনার মধ্যে আছে চাল কিভাবে পুরুন হবে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন বৃহস্পতিবার বিতরন করবে আর এক সপ্তাহের মধ্যে মাস্টার রোল জমা হবে।
গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানোর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ইএনওর সরকারী মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামিম আহম্মেদ বলেন, ভিজিডির চাল এভাবে রাখা ঠিক না। ট্যাগ অফিসার ছাড়াই বিতরন এবং মাস্টার রোল জমা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment