রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:ই-একুশে মিডিয়া
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৯-'২০ অর্থবছরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য এ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা আত্মসাতের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি করে তদন্ত শুরু করেছে।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদকে।গত ৭ মে ২০২৩ তারিখ ২৩/৬১ স্মারক নং এ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত তদন্তকরুণ প্রসঙ্গে একটি পত্র প্রেরণ করা হয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে। উক্তপত্রে আগামী ১০ মে '২৩ তারিখ বেলা ১২ টায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা আক্তার বানু, সাবেক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনোয়ার হোসেন রঞ্জু এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মেহেদী সোহরাব হোসাইনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ২০১৯-'২০ অর্থবছরের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য সরকারিভাবে ৪৮ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ আসে। কিন্তু সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার বানু উক্ত বরাদ্দের টাকা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ব্যয় না করে ভুয়া রেজিস্টার করে বিল ভাউচার বানিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে "প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ" শিরোনামে খবর প্রকাশিত হতে দেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে প্রতিবন্ধীদের টাকা আত্মসাৎকারি সাবেক ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা এবং তার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আজও হয়নি কোনো তদন্ত, নেওয়া হয়নি কোনো ব্যাবস্থা।
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ জানান, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান স্যার এই বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment