নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই নেতা হত্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের হাজিরা ঠেকাতে আদালত প্রাঙ্গণসহ সড়কে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। এ সময় তারা মাইক্রোবাসসহ তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ছাত্রদলের দুই নেতা হত্যা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন হাইকোর্ট থেকে অস্থায়ী জামিন নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে তিনি নরসিংদীর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন নিতে আসবেন এমন সংবাদে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল থেকেই তারা আদালতে আসার সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা সড়কে খায়রুল কবির খোকনসহ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় খায়রুল কবির খোকনের পক্ষে হাইকোর্টের আইনজীবীরা আদালতে ঢুকতে চাইলে পদবঞ্চিত নেতারা তাদের বহনকারী ৩টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনউদ্দিন বলেন, ত্যাগী ও যোগ্যদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এ কমিটি বাতিলের আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের দুইজন ভাই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। যতদিন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার না হবে ততদিন খোকন-শিরীনসহ কোনো আসামিই নরসিংদীতে পা ফেরতে পারবে না। আমরা তাদের নরসিংদীর মাটিতে প্রতিহত করব।
হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইলতুতমিশ সওদাগর বলেন, আমরা আদালতে যাওয়ার জন্য স্টেডিয়ামের সামনে পৌঁছানো মাত্র তারা গাড়ি থামিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামনে থাকলে ও তারা এগিয়ে আসেনি। তারা আমাদের তিনটি গাড়ি ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ মে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে বের করে। ওই সময় মিছিলে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে। এ সময় ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল গুলিবিদ্ধ হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় খায়রুল কবির খোকন ও তার স্ত্রী শিরীনসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে নিহত সাদেকুরের ভাই আলতাফ হোসেন হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment