একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:ই-একুশে মিডিয়া
আধুনিক সভ্যতার ক্রমঃ বিকাশে হারিয়ে যাওয়া দেশের ঐহিত্যবাহী জাতীয় খেলা কাবাডি বা হা-ডু-ডু খেলার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, পরস্পরের মধ্যে সপ্রীতির বন্ধন অটুট রাখা, বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল গেম আসক্ত কমাতে ও শরীরচর্চার জন্য বাঁশখালী উপজেলার ২ নং সাধনপুর ইউনিয়নের দুয়ারি পাড়া এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে হা-ডু-ডু খেলা।
বুধবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় সাধনপুর সাহেবের হাট খাঁচা বাজার নামক স্থানে হা ডু ডু প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।খেলায় অংশগ্রহণ করে সাধনপুর লায়ন বনাম সাধনপুর টাইগার। প্রায় বিলুপ্তির পথে জাতীয় এই খেলাকে ঘিরে দুপুরের পর থেকেই তৈরি হয় উৎসব মুখর পরিবেশ। নারী পুরুষসহ সকল বয়সী দর্শনার্থীর খেলা উপভোগ ছিল লক্ষণীয়। হা ডু-ডু খেলার উদ্ভোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী ক্রিকেট একাডেমি পরিচালক ও কোচ, সাংবাদিক মোহাম্মদ এরশাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক রুবেল কুমার দে,দৈনিক জনবাণীর বাঁশখালী প্রতিনিধি মোঃ বাকি বিল্লাহ চৌধুরী,সেভ দ্য রোড় বাঁশখালী উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী,খেলা আয়োজক কমিটির আহবায়ক আয়াস সানি,সদস্য কাজী বাবুল,জাহিদ হাসান,মোঃ শাকিল,জিহাদ, আরিফুল ইসলাম প্রমূখ।ম্যাচ পরিচালনা করেন ইফতেখার উদ্দিন খান।
এসময় উদ্বোধক সাংবাদিক মোঃ এরশাদ বলেন, আগে দেশের ছেলে মেয়েরা গ্রামীণ খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে রোজ বিকেলে স্কুল ছুটির পরে গ্রামীণ খেলায় মাতোয়ারা থাকতো। তাতে খেলার পাশাপাশি তাদের শরীর চর্চা ও মনন বিকাশ ঘটতো। বর্তমানে সেই জায়গা দখল করেছে লুডু, ক্যারাম, ক্রিকেট, টিভি, কম্পিউটার গেম। বাঙালীর আদি ক্রীড়া ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে “গ্রামীণ ক্রীড়া ফেডারেশন” গঠন করা দরকার বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তাতে আগামী প্রজন্ম আমাদের এসব খেলাকে জানতে পারবে, ভুলে যাবে না আমাদের শত বছরের নিজস্ব ক্রীড়া ও ঐতিহ্যকে। তাই দেশের জাতীয় খেলাকে টিকিয়ে রাখা ও যুব সমাজকে মাদকের কড়াল গ্রাস থেকে মুক্ত রাখতে বিকেল বেলায় খেলায় আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সাথে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে প্রতি বছরই আয়োজন করা দরকার। এ ধরনের খেলার আয়োজন করলে দেশে প্রতিভাবান খেলোয়াড়ও তৈরী হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
No comments:
Post a Comment