একুশে মিডিয়া প্রতিবেদক:ই-একুশে মিডিয়া
"রুখবো দূর্নীতি গড়বো দেশ,হবে সোনার বাংলাদেশ"এই স্লোগানের দৃঢ় প্রত্যয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
৬ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পরপরই গীতা পাঠ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটি বাঁশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উপজেলা প্রশাসন ও দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটি বাঁশখালী উপজেলার আয়োজনে ও দূর্ণীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সার্বিক সহযোগিতা আয়োজিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাঞ্চন দাশের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু দীলিপ কুমার ধর,সিনিয়র শিক্ষিকা আলিয়া বেগম,হারাধন দে,সুমি দে,সাধন কান্তি তালুকদার,পরিতোষ কান্তি দাস,তপন কুমার চক্রবর্তী,জসিম উদ্দীন,মাহমুদুল ইসলাম,শিবানন্দ দেব,উজ্জ্বল দে,খন্ডকালিন শিক্ষিকা কাউচার সুলতানা,নাসরিন আক্তারসহ সকল শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মচারীসহ সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ,কলম,খাতা, ছাতা,জ্যামিতি বক্স ও টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক বাবু দীলিপ কুমার ধর, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি বাঁশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম, স্কুলের সিনিয়র শিক্ষিকা আলিয়া বেগম,হারাধন দে।
এসময় প্রধান শিক্ষক বাবু দীলিপ কুমার ধর বলেন,এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি অনুপ বিশ্বাসের বিভিন্ন অনৈতিক ও অনিয়মকে প্রধান্য দিতে না পারায় অত্র স্কুলের শিক্ষক,শিক্ষিকা ও কর্মচারীরা দীর্ঘ ২৯ মাস যাবত প্রতিষ্ঠানিক বেতন ভাতা এবং দীর্ঘ ৯ মাস সরকারি বেতন ভাতা পাচ্ছে না।তবুও ধারাবাহিক ভাবে নিয়মিত পাঠ্য কার্যক্রমসহ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষক কর্মচারীরা।অনুপ বিশ্বাসের রোষানলের শিকার শুধু শিক্ষকরাই নয় বরং পুরো প্রতিষ্ঠানই তার রোষানলের শিকার হয়েছে।এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে একেরপর এক অন্তত ১০-১২টি মামলাও দিয়েছে।এখনো পর্যন্ত উচ্চ আদালতে আরো একটি মামলা ঝুলে আছে।শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ বেতন ভাতা বঞ্চিত হয়ে থাকা সত্বেও খেয়ে-নাখেয়ে স্কুল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।শিক্ষক,কর্মচারীসহ সকলের প্রতিষ্ঠানিক ও সরকারি বেতন ভাতাসহ প্রতিষ্ঠানের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি মহোদয় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
No comments:
Post a Comment