সাইদ সাজু, তানোর থেকে:ই-একুশে মিডিয়া
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি গ্রামে পানের বরজ করে স্বপ্ন বুনছেন তানোর উপজেলা পাঁচন্দর ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি আব্দুর রব। তার নানার বাড়ি তানোর উপজেলার প্রাণপুর (পাঠাকাটা) হলেও তিনি কৃষ্ণপুর জীতপর গ্রামে স্থায়ী হয়ে কৃষিকাজের পাশাপাশি কৃষকদের কল্যানে কৃষক লীগের রাজনীতিতে রয়েছেন পাঁচন্দর ইউনিয়ন কৃষকলীগ সভাপতি। তার দাদা ও বাবার বাড়ি মোহনপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি গ্রামে। তার পিতা মরহুম ফজলুর রহমানের গড়ে তোলা পানের বরজটি রয়েছে ৮ শতক জমির উপর। গত ৬ মাস ধরে এই পানের বরজটি তিনি নতুন ভাবে তৈরিতে খরচ করেছেন প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর মাত্র ১ মাস পর থেকেই পান বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, আমার পিতা মরহুম ফজলুর রহমান গড়ে তুলেছিলেন এই পান বরজ। পিতার মৃত্যুর পানের বরজটি অযত্ন ও অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছিলো। গত ৬ মাস ধরে পানের বরজটি নতুন ভাবে তৈরি করা হয়েছে।
পানের বরজে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হচ্ছে, প্রায় সময়ই বরজে লোকসহ নিজে উপস্থিত থেকে যত্ন করছি। আশা করছি আর মাত্র ১ মাস পর থেকেই পান বিক্রি শুরু করতে পারবো।
সরেজমিন মহিষকুন্ডি গ্রামস্থ্য মহিষকুন্ড দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এই পানের বরজে গিয়ে দেখা গেছে, সবুজ পাতায় ভরে উঠতে শুরু করেছে পুরো বরজ। বরজের ভেতরে দেখা গেছে, মাটি থেকে বরজের উচ্চতার অর্ধেক পর্যন্ত হওয়া এই পান গাছ গুলোর সবুজ সতেজ পাতা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ স্নিগ্ধতার হাতছানি দিচ্ছে। এসময় কথা হয় সেখানে উপস্থিত ওই গ্রামের বিভিন্ন বয়সী কয়েক জনের সাথে তারা জানান দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব এই পানের বরজ। তবে, নিয়মিত ভাবেই এর যত্ন নিতে হবে। সেখানে উপস্থিত পান চাষীরা আরো বলেন, বছরের পর বছর এভাবেই পানের বরজ টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেখানে উপস্থিত এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, তাদের একটি পানের বরজ রয়েছে যার বয়স ১ শ' বছরেরও বেশী। তানোরের কৃষকরা পানের বরজ তৈরিতে আগ্রহী না হলেও ২ বছর আগে বুরুজে ২ জন ১ বিঘা জমিতে, ভদ্রখন্ড গ্রামের ১জন ১০ কাঠা জমিতে এবং সুকদেবপুর গ্রামে ১ জন ১০ কাঠা জমিতে গড়ে তুলেছেন পানের বরজ।
তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, মোহনপুর উপজেলায় পানের বরজ হলে তানোরের কিছু কিছু মাটিতে পানের বরজ গড়ে তোলা সম্ভব। এব্যাপারে তানোর উপজেলা উপসহকারী কৃষি অফিসার এমদাদ হোসেন বলেন, তানোরের বুরুজ, ভদ্রখন্ড, সুকদেবপুরসহ ৫ জন কৃষক পানের বরজ গড়ে তুলেছেন। তারা লাভবান হচ্ছেন। তানোরেও পানের বরজে লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা বলেও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment