দিদার হোসাইন, একুশে মিডিয়া:ই-একুশে মিডিয়া
বাঁশখালী উপজেলা যুব লীগের সাবেক মেম্বার সেলিম উল্লাহ'র উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে,পালিয়ে যাওয়ার সময় এক হামলাকারী সন্ত্রাসীকে জনতা ধৃত করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে বাসায় ফেরার পথে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন কোর্ট বিল্ডিং এর নীচে হোটেল ব্রীজে এলাকায় পৌঁছালে হামলার পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে উৎপেতে থাকা ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়, এতে বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউপির ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু মৌলানা হাবিবুর রহমান এর ছেলে সাবেক যুব লীগ নেতা মোঃ সেলিম উল্লাহকে রক্তাক্ত আঘাত করেছে।এতে একপর্যায়ে আহত ব্যক্তি মাটিতে পড়ে,এসময় তাঁর আর্তচিৎকারে পথচারী লোকজন আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফটিকছড়ির ভোজপুরের বাইনজুরী ইউপির নারায়ণ হাট এলাকার মুন্সি পাড়ার মৃত্যু আলেক মিয়ার পুত্র মোঃ গিয়াস উদ্দিন (১৯)কে জনতা ধৃত করে,পরে ধৃত আসামীকে কোতোয়ালি থানা পুলিশে সোপর্দ করে এবং গুরুতর আহতবস্থায ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্যে ভিকটিম সেলিমকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত সেলিম বলেন,বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিচ্ছে একটি মহল,এরই প্রেক্ষিতে শনিবার দিবাগত রাতে বাসায় ফেরার পথে কোর্ট বিল্ডিং এলাকার হোটেল ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীর আমার উপর অতর্কিত হামলা করেছে, হামলাকারীদের ১ জনকে জনতা ধৃত করে থানা পুলিশে দিয়েছে,এবিষয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছি,মামলায় ধৃত আসামী গিয়াস উদ্দিনসহ আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন,মূলত হত্যার করার উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার উপর হামলা করানো হয়েছে,তাই ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতা কে বা কারা?তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সেলিম।
হামলার ঘটনা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক জুড়ে।এছাড়াও হত্যা চেষ্টায় হামলার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মূল পরিকল্পনাকারী এবং ইন্ধনদাতা কারা তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন মহল।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশ নওজেশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়, হামলার পরপরই গিয়াস উদ্দিন নামে এক আসামীকে আটক করা হয়,তাকে কোর্ট চালান দেয়া হয়েছে,এবং আসামীর রিমান্ড হেয়ারিং করা হয়,রিমান্ড ফেলে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলাকারী অন্যান্য আসামীদের চিহ্নিত করে আটক করা হবে।
No comments:
Post a Comment