একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদক:ই-একুশে মিডিয়া
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পূর্ব জঙ্গল চাম্বলে রেইঞ্জারের নাকের ডগায় পাহাড় কেটে দেদারসে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা, এতে রেঞ্জ কর্তা লাখ লাখ টাকা অবৈধ উপার্জন করলেও দেখার কেউ নেই। ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার), সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, পূর্ব জঙ্গল চাম্বল ৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় পাহাড়ি টিলা ধ্বংস করে বেশ কয়েকটি অবৈধ ভাবে নতুন স্থাপনা নির্মাণের চলমান দৃশ্য। এরই মধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ
মালেকসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে নতুন স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে কিছুক্ষণের জন্যে কাজ বন্ধ রাখা হলেও বন কর্তা আনিসের কারিশমাতেই পুনরায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। বন রক্ষক যেনো ভক্ষকে রূপায়িত, বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থলে বনদস্যুদের অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠায় প্রতিনিয়ত লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বন্যহাতিসহ বিভিন্ন প্রাণীরা। এরই মধ্যে বন্যহাতির আক্রমণে বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, এর মুল কারণ বনে অবৈধ স্থাপনা বৃদ্ধি বলে দাবি সচেতন মহলের।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বাঁশখালীতে যোগদানের পর থেকে ইকোপার্ক পার্শ্ববর্তী ও পূর্ব জঙ্গল চাম্বলের ৯ নং ওয়ার্ড এলাকা এবং জঙ্গল নাপোড়ার পাহাড়ি টিলা গুলো ধ্বংস করে প্রভাবশালীরা একেরপর অবৈধ ভাবে গড়ে তুলছে। ওই কর্তার অনিয়ম ও দূর্ণীতি নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি কতৃপক্ষ। এতে আরো বেপরোয়া ভাবে সরকার জায়গা দেদারসে অবৈধ দখল দিয়ে যাচ্ছে আনিস।
বিটে দায়িত্বরত এক কর্মচারী বলেন, ভাই আপনারা নিউজে আমাদের নাম দিয়েননা, কারণ চাকরি হারাবো শুধু তাইনা, জীবনও হারাবো।যারা পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করছে এবং গাছ কেটে নিয়ে যায় তারা সবাই আনিস স্যারের মানুষ। একই অভিযোগ উঠেছে সচেতন মহলে।
এছাড়াও বাঁশখালীর চাম্বল, নাপোড়া ও পুঁইছড়ি পাহাড়ি বনাঞ্চল সাবাড় করার অভিযোগও রয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
বাঁশখালীতে অনেক বছর যাবত কর্মরত থাকার সুবাদে সব জায়গাতেই চলে আনিস সাহেবের আধিপত্য। ইতিপূর্বে জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় ওই কর্মকর্তার অনিয়ম নিয়ে বেশ কিছু নিউজ প্রকাশিত হলেও উর্ধতন কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়াতে বহাল তবিয়তে কর্মরত রয়েছে আনিস।
এবিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু কখন করবেন?আর চলমান অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেননা কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শীলকূপের চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েছে এবং চাম্বলের চেয়ারম্যানকেও অবহিত করেছি তাই পদক্ষেপ নিতে পারছিনা, সর্বশেষ প্রভাবশালীদের কবলে পড়েছে বলে জানান তিনি। কারা তারা? জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। এভাবে প্রভাবশালীদের বাহনা দিয়ে ভূমিদস্যুদের অবৈধ ভাবে পাহাড় দখলে দেয়াতে ধ্বংসের মূখে পরিবেশ।
শীলকূপের চেয়ারম্যান কায়েস সরওয়ার সুমন বলেন, আমিতো এবিষয়ে কিছুই জানিনা, আর চাম্বলের বিষয়ে আমার কথা কেন?
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল খালেক পাটোয়ারী বলেন, বনের জায়গাতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ফরেস্টের লোকেরা আমাদের সহযোগীতা চাইলে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment