একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদক:ই-একুশে মিডিয়া
বাঁশখালীর চাম্বল সিন্ধিপাড়া এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় বসতঘর ভাংচুর ও মারধরসহ মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ২ নারীসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়।
২২ নভেম্বর (বুধবার) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চাম্বল ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডের সিন্ধিপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাঁশখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৭৪/২৩ ইং মামলা দায়ের করেছে।
মামলা ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে ওই এলাকার জাগের প্রঃ জাগুর পুত্র মোঃ সাইফুল (২৫), আমান উল্লাহর পুত্র মোঃ পারভেজ(২৪), মোঃ তারেক (২৫), মোঃ আরিফ (২৩), মোঃ জিসান(২০), রোকসানা আক্তার (৪২), মোঃ রাকিব (১৯)সহ আরো প্রায় ৭/৮ জন অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং সদস্যরা অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করে, এসময় ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিনের ঘরে বেড়াতে আসা মেহমান ফিরোজা বেগম, নুরুল আবছার, হাসিনা বেগম ও জামাল উদ্দিনসহ ৪ জনকে বেধড়ক মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং বসতঘর ভাংচুর তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধনসহ অন্তত সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে আসামীরা।
সরেজমিনে পরিদর্শনে বসতঘর ও ঘেরাবেড়া ভাংচুর চালিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। আহত নুরুল আবছার বলেন, আমার বাড়ী গুনাগরী এলাকায়, পরিবার শহরে থাকি। আত্মীয়তার সুবাদে আমি পরিবার নিয়ে জামালের বাড়ীতে বেড়াইতে এসেছি, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করার সময় হঠাৎ করে জামালে ঘরে বৈদ্য এনেছে বলে ১২/১৩ জন লোক গালিগালাজ করে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জামালের বসতঘর ভাংচুর করে। এসময় আমাকে ও আমার স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। এসময় জামাল ও হাসিনা বেগমকে মারধর করে ঘরের মালামাল লুট করে। বর্তমানে আমার স্ত্রী ফিরোজা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন নুরুল আবছার ও ভুক্তভোগীরা।
অপরদিকে আসামী পক্ষের জাগের প্রঃ জাগু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ছেলে সাইফুল একটি সিএনজিতে বসেছিল, সেখানে তার কিছু বন্ধুরা তার সাথে দুষ্টামি করেতেছে, কিন্তু সিএনজিটি জামালের হওয়াতে একপর্যায়ে জামাল এসে আমার ছেলেকে তক্তা দিয়ে বারী মারে ঘরে ঢুকে যায়, জামালকে ঘর থেকে বের করার জন্যে ভাংচুর করছে সত্য কিন্তু কোন কিছু লুটপাট করেনাই।
এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আহমদ কবির জানান, আসামী পক্ষের লোকজন প্রথমে আমাকে বলেছিল, জামাল নাকি সাইফুলকে মেরেছে, আমি বিচার করবো বলেছি, কিন্তু এরই মধ্যে আসামী পক্ষের লোকেরা জামালের বসতঘর ভাংচুর করে তার ঘরে বেড়াতে আসা মেহমানদের মারধরের ঘটনা করেছে।
No comments:
Post a Comment