মিডিয়া ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) রদবদলের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে এ তালিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ইচ্ছায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার মধ্যে কর্মস্থল ছাড়তে হচ্ছে অন্তত সাত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথমে তারা ৬ মাসের বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন, এমন ইউএনওদের নাম-তালিকা বাছাই করেছেন।
এরপর কাকে কোন জায়গায় পদায়ন করা যেতে পারে, সেই প্রস্তাব করে মাঠ পর্যায় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে এটি ইসিতে পাঠাবে। সেখান থেকে অনুমোদনের পর বদলির আদেশ জারি করা হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে যে নির্বাচনী এলাকায় রয়েছেন, সেখান থেকে সরিয়ে একই জেলায় অন্য আসনের উপজেলায় বদলি করা হচ্ছে ইউএনওদের। এরমধ্যে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের ইউএনও সম্রাট খীসা ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর যোগদান করেন সন্দ্বীপে। এরপর রাঙ্গুনিয়ার আতাউল গনি ওসমানী, পটিয়ার মোহাম্মদ আতিকুল মামুন, রাউজানের আবদুস সামাদ শিকদার, বোয়ালখালীর মোহাম্মদ মামুন, কর্ণফুলীর মো. মামুনুর রশীদ, মিরসরাইয়ের মাহফুজা জেরিন ২০২২ সালের মে, জুন ও অক্টোবর, ডিসেম্বর মাস নাগাদ এসব উপজেলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সে হিসেবে তাদের কারও এক বছরের বেশি, কারও এক বছর পূর্ণ হয়েছে।
বাকি ৮ উপজেলা সাতকানিয়া, সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের যোগদান চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে রয়েছে। ইসির চাওয়া অনুযায়ী তারা বদলি নাও হতে পারেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব মো. আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যারা এক বছরের বেশি সময় ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে আছেন তাদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তালিকা চূড়ান্ত করে ইসির কাছে পাঠানো হবে। এরপর বদলির আদেশ আসবে।
No comments:
Post a Comment