চট্টগ্রামের বাঁশখালীর আলোচিত ২৯ মামলার পলাতক বহিস্কৃত চেয়ারম্যান লিয়াকতের বিরুদ্ধে গাড়ী ভাংচূর ও নাশকতার অভিযোগে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাঁশখালী থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৩৬ জনকে, ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে। পলাতক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী নিজের ফেসবুক আইডি( Md. Liaquat Ali) থেকে ২০ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টা ৫০ মিনিটে পোষ্ট দিয়ে লিখেন ‘ আমি বিএনপি থেকে বহিস্কৃত, চেয়ারম্যান থেকে বহিস্কৃত। তারপরও আরও একটি মামলার আসামী হলাম।’
গত ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিএনপি’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে বাঁশখালী প্রধান সড়কের চাম্বল বাজার এলাকায় সকাল সাড়ে ১১টায় অতর্কিত ৫০/৬০ জন বিএনপি কর্মী লাঠি-সোটা নিয়ে লিয়াকত ভাই, লিয়াকত ভাই বলে চাম্বল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিল থেকে ১টি বাস, ৮টি সিএনজি, ৪টি অটোরিকশায় ভাংচূর করে। বিএনপি নেতা আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলটি ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পলাতক চেয়ারম্যান লিয়াকতের দেহরক্ষী গন্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের মৃত আফজাল আহমদের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫)কে গ্রেফতার করেছিল।
চাম্বল বাজারে হামলার পর পর পলাতক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী নিজের ফেসবুক আইডি ( Md. Liaquat Ali) থেকে দুপুর ১২টায় হামলার ও বিক্ষোভ মিছিলের ভিডিও দৃশ্য পোষ্ট করেছিলেন । ওই ভিডিওতে একটি বাস ভাংচূর করতে দেখা গেছে।
বাঁশখালী থানার ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হাওলাদার বলেন, গাড়ি ভাংচূর ও নাশকতার ঘটনায় একজন গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
No comments:
Post a Comment