বাঁশখালীতে ককটেল বিস্ফোরণ এবং নাশকতা মামলার পলাতক আসামি হাসান কামালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন লালদিঘির পশ্চিম পাড়স্থ জেবি টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বাঁশখালী জামায়াতের রুকন।
র্যাব-৭ সূত্র জানা যায়, গত ২ নভেম্বর বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে বাঁশখালী থানাধীন সোনারটিলা এলাকায় রাস্তার উপর অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুস্কৃতিকারী সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে লাঠি-সোঠা, লোহার রড নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, সাধারণ জনগণের মাঝে ভয়-ভীতির উদ্দেশ্যে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার সন্দিগ্ধ পলাতক আসামি মোঃ হাসান কামাল (৫২)
এ সময় ভিকটিম মো. করিমসহ (২৬) ৭/৮ জন নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে গুরুতর জখম করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়াও অবরোধকারীরা ভিকটিম এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নাশকতাকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম মো. করিম বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য যে সিডিএমএস পর্যালোচনায় গ্রেফতারকৃত আসামি হাসান কামাল এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় সরকারী সম্পত্তির ক্ষতিসাধন,বেআইনি সমাবেশ, নাশকতা, হত্যাচেষ্টাসহ সর্বমোট ০২টি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment