চৌদ্দগ্রামে বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে- বিএনপি নেতা জুয়েল

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি:

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা। ভয়াবহ বন্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় বানভাসি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোপায়েল হোসেন জুয়েল।

জানা যায় যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় বন্যা শুরু থেকে তিনি স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদল সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিবন্দী অবস্থায় থাকা মানুষের মধ্যে ত্রান সামগ্রী শুকনা খাবার বিতরণ করেন।

বন্যা শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকে গত ২৩ ই আগষ্ট শুক্রবার থেকে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৭ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রান সামগ্রী শুকনা খাবার বিতরণ করেন।

সরজমিনে দেখা যায় যে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদল সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ  ট্রাক পিক-আপ নৌকা যুগে ত্রাণ সামগ্রী শুকনা খাবার নিয়ে কোমর সমান পানিতে নেমে পায়ে হেটে হেটে তিনি উপজেলার ১নং কাশিনগর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম,২নং উজির ইউনিয়ন এর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম, ৩নং কালিকাপুর ইউনিয়ন এর পানিবন্দী গ্রাম, ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম, ৫নং শুভপুর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম , ৬ নং ঘোলপাশা ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রাম  ও ৮ নং মুন্সিরহাট ইউনিয়ন এর বিভিন্ন গ্রামে পানি বন্দী অবস্থায় থাকা মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন।

এসময় প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের মধ্যে ও তিনি ত্রাণ সামগ্রী শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন।বিরতিহীন ভাবে এসকল ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এর বিষয় জানতে চাইলে তোফায়েল হোসেন জুয়েল বলেন,সত্যি বলতে আমার জন্মের পর এমন ভয়াবহ দূর্যোগের দৃশ্য নিজের চোখে দেখা,মানুষের এমন কঠিন ভয়াবহ দূর্যোগের মূহুর্তে পাশে থাকার অনূভুতি প্রকাশ করার মতো নয়,আমি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সর্বোপরি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রাম ও আশ্রয়কেন্দ্রে বন্দী থাকা মানুষের পাশে দাড়াতে এটাই আমার সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা বলে আমি মনে করি। এসময় তিনি উনার উক্ত কর্মসূচী তে বিরতিহীন ভাবে সঙ্গে থেকে পরিশ্রম করা বিএনপি যুবদল ছাত্রদল সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন।