রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ :
নানা আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রোববার দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল যুব সমাবেশ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের আয়োজনে বিকালে শহরের মেইন বাসষ্টান্ডে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিঃ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও বিগত সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ সময় তিনি বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশ পরিচালনায় এগিয়ে যাবে। বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার জুলুমবাজ সরকারের পতন হয়েছে। এখন বিএনপির দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে সবাইকে ওক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুজাউদ্দীন পিয়াল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ নূরুল ইসলাম,সাইদুল ইসলাম শহিদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু, উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান লেন্টু পৌরবিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম তোতা, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল টিটু,মনজুরুল হক খোকা,মোহাম্মদ আলী,আসাদুজ্জামান, বাবলুর রানা,আলমগীর হোসেন,স্বপন,মোস্তাফিজুর রহমান কাজল,মাসুদ রানা প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, দেশ এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। বিএনপি সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও ছায়া সরকার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি তার কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি মাত্র। তাছাড়া পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা যদি তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সমাজকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তবে সংগে সংগে তাদেরকে রুখে দিতে হবে। প্রধান অতিথি বলেন, শতশত ছাত্র ও জনগণের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বৈরাচারী সরকার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের প্রেতাত্মা এখনো দেশে বিরাজমান। যাদের কারণে গত ১৫ বছর আমরা একসাথে বসতে পারিনি, সভা সমাবেশ করতে পারিনি। ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা সে অধিকার ফিরে পেয়েছি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোন ভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকার ব্যর্থ হলে গণ অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে, হাজার শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। তাই দেশের পতিত স্বৈরাচার সরকারের ফ্যাসিবাদী কায়েম করতে যারা সহায়তা করেছে, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে জনগণকেই প্রতিবাদ করতে হবে। যার যার স্থান থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা করতে হবে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরো বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা শুনেছেন আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা স্পষ্ট ভাষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে। অতএব আপনারা সবাই ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে একতাবদ্ধ থাকবেন বলে আমি আশাবাদী।
এর আগে প্রধান অতিথির আগমনে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিত নেতাকর্মীরা, শ্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তাকে বরণ করেন। সভা স্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। বিকাল থেকেই যুবদলের নেতাকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সভাস্থলে আগমন ঘটে।
শেষে বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। এর আগে সকালে বিএনপির থানা রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে দরিদ্র অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়।
No comments:
Post a Comment