আর নির্বাচন না করার ঘোষণা এলডিপির সভাপতি অলি আহমদের - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 13 October 2024

আর নির্বাচন না করার ঘোষণা এলডিপির সভাপতি অলি আহমদের

একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:

সংসদ নির্বাচনে আর অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর ইউনিয়নের বণিকপাড়া পূজামণ্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ঘোষণা দেন তিনি।

সময় বর্ষীয়ান রাজনীতিক অলি আহমদ তাঁর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার আংশিক) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক সানিকে পরিচয় করিয়ে দেন। সানিও এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য।

অলি আহমদ বণিকপাড়া ছাড়াও উপজেলার যেসব মণ্ডপে যান, সেখানে ছেলেকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেন। জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আর নির্বাচন করব না, সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে এসেছি। সে আমেরিকা-লন্ডনে লেখাপড়া করেছে। তাকে আপনাদের জন্যই গড়ে তুলেছি। সে ২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। তার স্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য অলি আহমদ দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে গঠন করেন এলডিপি। শুভেচ্ছা বিনিময়ে ছেলেকে দেখিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘আপনাদের চিন্তা হচ্ছে, আমার স্থলাভিষিক্ত কে হবে? আপনাদের ছায়া দেবে কে? সে (ছেলে) আপনাদের খেদমত করবে। আমিও যতদিন বেঁচে থাকব, আপনাদের ছেড়ে যাব না।তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উত্তম। এর মধ্যে সে ভুল করলে আমি ঠিক করে দিতে পারব। সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার দায়িত্ব আমি আমার ছেলের ওপর অর্পণ করলাম।

আপনারা আমার ছেলের দায়িত্ব নিতে পারবেন কিনাপ্রশ্ন রেখে নেতাকর্মীকে হাত তুলতে বলেন অলি আহমদ। উপস্থিত নেতাকর্মী হাত তুলে প্রতিশ্রুতি দেন। এর পর তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমি এলাকায় আসিনি। কারণ আমি এলে, যারা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত, তাদের তৎকালীন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠাত। নেতাকর্মীকে আমি বিপদে ফেলতে চাইনি।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানে এবং শেখ হাসিনা তাঁর পরিবার ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে। সে সময় আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গল্প শোনায় আওয়ামী লীগ, এগুলো কি মানা যায়?’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। সর্বপ্রথম স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য আমাকে বলা হয়েছিল। তখন মেজর জিয়াউর রহমান আমার সিনিয়র ছিলেন। এজন্য আমিই তাঁকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করার অনুরোধ করেছিলাম। তার প্রমাণ আমার কাছে এখনও আছে, চাইলে দেখতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। এখন কেউ সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দেবেন। যে কোনো প্রয়োজনে আমি, আমার ছেলে এলডিপির নেতাকর্মীকে পাশে পাবেন।

সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিমুল, সহসভাপতি জি এম শাহজাহান, সাতকানিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভার সভাপতি আইনুল কবির, উত্তর সাতকানিয়ার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন উদ্দিন ভুট্টো প্রমুখ

 

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages