মুহাম্মদ দিদার হোসাইন:
বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর হৃদয় স্পন্দন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)কে নিয়ে ভারতে কটুক্তির প্রতিবাদে বাঁশখালীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৫ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্যানারে পৌরসভা মিয়ার বাজার এলাকা থেকে থানা গেইট পর্যন্ত প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক সৈয়দ মুনিরুল ইসলাম আশরাফীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উপজেলা আহ্বায়ক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম রেজভী, সদস্য সচিব মাওলানা আব্দুল মালেক আশরাফী, যুগ্ন আহ্বায়ক মাওলানা বশির আহমদ, মাওলানা মহিউল আলম চৌধুরী, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মোঃ জাকের উল্লাহ রেজভী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আলকাদেরী, মাওলানা মমতাজুল হক নঈমী, ওযাহিদুল ইসলাম আলকাদেরী, ইসলামী ফ্রন্ট বাঁশখালী উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মাওলানা এস এম শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক সুলতান আহমদ, মাওলানা ইউনুস তৈয়বী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা সোলাইমান, মাওলানা মামুনুর রশীদ, এডভোকেট আব্দুল আলীম, এড. মহিউদ্দিন, আব্দুর রহিম সিরাজী, মাস্টার জাহাঙ্গীর, মঈনুল ইসলাম ফরহাদ, মাস্টার আনোয়ারুল আজিমসহ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন, প্রিয়নবীর অপমান সইবেনারে মুসলমান, ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, বদর যুদ্ধের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার এইসব স্লোগান দিতে থাকেন নেতারা।
সভায় বক্তারা বলেন, রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী সেই ধর্মগুরু রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনাই ভারত সরকার। যাহা অন্তত দুঃখজনক, ভারত সরকার যদি রামগীরি ও বিজেপি নেতা রানার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই, রাসুল (সাঃ)কে নিয়ে কটুক্তিকারী সেই কুলাঙ্গারদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়াও এদেশে ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে বিভিন্ন মাজারে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে, সুন্নি আলেমদের উপর হামলা এবং মসজিদ থেকে সুন্নি ইমামদের জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে, যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে তাদের কাউকে এখনও পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়নি। এছাড়াও ছাত্রদেরকে লেলিয়ে দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এইসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে নেতারা।
No comments:
Post a Comment