কর্ণফুলী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা কর্ণফুলীতে চরপাথরঘাটা আজিম হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ে মাসব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইনের জেলা সিভিল সার্জন ডা.জাহাঙ্গীর আলম উদ্বোধন করেন।
২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ ঘটিকায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা আজিম হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা জান্নাত।
জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. নাজনীন সুলতানা, চরপাথরঘাটা আজিম হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম।
সঞ্চালনায় কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডা.শাহাদাত হোসেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও উপজেলা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে সারাদেশের ন্যায় আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার ২৬৮ জন নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং তার মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যান। সাধারণত হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) দ্বারা সংক্রামিত হওয়া থেকে জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৫-২০ বছর সময় লাগে। এ জন্য এই রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই প্রায় শেষ পর্যায়ে শনাক্ত হন যখন রোগ থেকে সেরে ওঠা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কিশোরীদের নির্দিষ্ট বয়সে এক ডোজ এইচপিভি টিকা প্রদান করলে এই ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
প্রধান অতিথি আরও বলেন আগামী ২১ নভেম্বর এ ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হবে। শুক্রবার ও সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত মোট ১৮ দিনের প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলার ১৫ উপজেলার ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম-৯ম শ্রেণির ১০-১৪ বছর বয়সী ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩০ জন কিশোরী ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ১০-১৪ বছর বয়সী ৭ হাজার ৫১৮ জন কিশোরীসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ জন কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা জান্নাত বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজার হাজার নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার সারাদেশে আবারও বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। এবারের লক্ষ্য হলো ৯৫ শতাংশ কিশোরীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা।
No comments:
Post a Comment