পেকুয়ায় একটি হত্যায় কাল হলো যুব লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের সাম্রাজ্যের - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 22 October 2024

পেকুয়ায় একটি হত্যায় কাল হলো যুব লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানের সাম্রাজ্যের

এইচ.এম. শহিদুল ইসলাম পেকুয়া থেকে:

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া একটি ছোট্ট মডেল উপজেলা  টানা আওয়ামী লীগের শাসন আমলেই দখল বেদখল চাঁদা বাজি অবৈধভাবে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ ছিল  পেকুয়া উপজেলা  যুব লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এর হাতে।

জাহাঙ্গীর আলম ছাত্র লীগের নেতা থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে পিছনে আর থাকাতে হয়নি ধাপে ধাপে এলাকার ছোট কাটো বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে  যায় তার পরিবারের ভাইরা। পরবর্তী যুব লীগের পেকুয়া উপজেলার সভাপতি  থেকে  জেলা  পরিষদের সদস্য থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে উপজেলা  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।

অধ্যক্ষ মোঃআরিফ অপহরণ,

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ অপহরণের শিকার হন। ঘটনার দিন বিকেল ০৫টার দিকে পারিবারিক প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ। এরপর আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি না ফেরায় তার স্ত্রী মেহবুবা আনোয়ার লাইজু তাকে ফোন দেন। কিন্তু ভিকটিম আরিফ এর মোবাইলে রিং হলেও কল রিসিভ হয়নি। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে তার স্ত্রী দিন রাতে পেকুয়া থানায় একটি  নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

মুক্তিপণ চেয়ে মায়ের কাছে ফোন,

অধ্যক্ষ আরিফ অপহরণের দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অধ্যক্ষ আরিফের মোবাইল নম্বর থেকে তার মায়ের মোবাইলে কল আসে। কল রিসিভ করলে অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে (আরিফের মা) জানান যে, তার ছেলে অপহরণের শিকার হয়েছে। পরবর্তীতে রাত ২টার দিকে পুনরায় কল করে চট্টগ্রাম নগরীর ফ্রিপোর্ট থেকে অধ্যক্ষ আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলেও পরদিন ফ্রিপোর্ট এলাকায় গিয়ে অনেক খুঁজেও অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অনেকবার চেষ্টা করলেও আরিফের মোবাইলে কল ঢুকেনি। পরে আরিফের মুক্তির জন্য ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আরিফের স্ত্রীকে সেই টাকা নিয়ে পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর নতুন ব্রিজ পুলিশ বক্সের সামনে যেতে বলেন অপহরণকারীরা। পাশাপাশি তারা হুমকি দিয়ে বলেন, “কোন চালাকি অথবা পুলিশ, ্যাব কিংবা আর্মির দ্বারস্থ হলে তোর স্বামীর মরদেহ পাবি কিন্তু এরপর আবারও মোবাইল বন্ধ করে দেন তারা। ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই বাদী হয়ে  পেকুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নিহত বাড়ির ভাড়াটিয়া  গ্রেপ্তার,

ভিকটিম অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ অপহরণের পর থেকে ছায়াতদন্ত শুরু করে ্যাব-১৫। গত১১ অক্টোবর  সাড়ে  ০৩ টার সময় ্যাবের যৌথ অভিযানিক দল চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন আন্দরকিল্লা কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার অন্যতম হোতা এবং অধ্যক্ষ আরিফের স্বজনদের নিকট সরাসরি মোবাইলে কল করে মুক্তিপণ চাওয়া চাঁদপুর এলাকার মোঃ রুবেল খান  নামের ব্যাক্তি কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত রুবেল পেকুয়ায় একটি মুঠোফোন কোম্পানীতে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে ভিকটিম আরিফের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। অপহরণের পর এই নৃশংস হত্যাকান্ডে গ্রেফতারকৃত রুবেলসহ পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জড়িত রয়েছে মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে প্রশাসন কে।

নিজ বসতবাড়ির পুকুরে বস্তাবন্দি লাশ,

এরই মধ্যেই  গত ১১ অক্টোবর  বিকেল অনুমান টার দিকে এলাকার একটি ছেলে পুকুরে মাছ ধরবার জন্য ব্ডশী ফেললেই পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি কিছু দেখতে পেলে সাথে সাথে আরিফের বাড়িতে খবর দেন, তাঁরা এসে দেখেন  অধ্যক্ষ আরিফের লাশ। পুলিশকে জানানো হলে  নিজ বাড়ীর পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে তার ইট বাঁধা বস্তাবন্দী গলিত লাশ উদ্ধার করেন প্রশাসন। অধ্যক্ষ আরিফকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি হত্যা করে বস্তাবন্দি লাশ পুকুরের পানির নিচে গুম করার খবর গণমাধ্যম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হলে জনমনে ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আরিফ হত্যার বিচার আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের জোর দাবি তুলে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন নেটিজেন এলাকাবাসীরা।

যে ভাবে গ্রেফতার হলেন-যুবলীগ সভাপতি,

গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে উক্ত ঘটনার প্রধান পরিকল্পনাকারী মূলহোতা হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমকে শনাক্ত বিস্তারিত পরিচয় এবং তার অবস্থান উদঘাটনে সমর্থ হয় ্যাব। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১২ অক্টোবর রাত টার সময়  ্যাব-১৫ এবং ্যাব- এর একটি চৌকস যৌথ অভিযানিক দল ্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত  যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত শহিদ ওয়াসিম আকরাম হত্যার আসামি তার বিরুদ্ধে অস্ত্র সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

জমির বিরুদ নিয়ে এই হত্যা কান্ড,

যুবলীগের সভাপতি  জাহাঙ্গীর আলম বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, জোরপূর্বক ভূমি দখল,, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম নৃশংস এই হত্যাকান্ডে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে নেন। আনুমানিক / বছর যাবত জাহাঙ্গীর অধ্যক্ষ আরিফের পরিবারের মধ্যে জমি জমার বিবাদ সম্পর্কের টানাপোড়েন চলে আসছিল। জাহাঙ্গীর ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় দীর্ঘদিন তার এই দখলদারত্ব চুপচাপ মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছিলেন অধ্যক্ষ আরিফ তার পরিবার। কিন্তু ০৫ আগস্টের পর অধ্যক্ষ আরিফ নিজেদের জমি ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে আইনগত লড়াই শুরু করেন। নিয়ে আরিফের উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন জাহাঙ্গীর। বিষয়ে বেশ কয়েকবার আরিফের সঙ্গে  কথা কাটাকাটিও হয় তার। মূলত এরই জের ধরে আরিফকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন জাহাঙ্গীর আলম।

অপহরণ হত্যার নীলনকশা,

অধ্যক্ষ আরিফ কে অপহরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর, আজমগীর রুবেল জাহাঙ্গীরের বাসা সংলগ্ন গোপন স্থানে বেশ কয়েকবার বৈঠকে মিলিত হন। মূলত এসব বৈঠকে তারা অধ্যক্ষ আরিফকে অপহরণ, হত্যা তার স্বজনদের নিকট হতে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করার নীলনকশা তৈরি করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক রুবেল মাসখানেক ধরে আরিফের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকেন। সর্বশেষ ২১ সেপ্টেম্বর শেষবারের মতো তারা বৈঠকে মিলিত হয়ে সব পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। ২৮ তারিখ অধ্যক্ষ আরিফ বাসা থেকে বের হওয়া মাত্রই রুবেল তা জাহাঙ্গীর আজমগীরকে জানিয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে আরিফকে তুলে নেওয়া এবং পরবর্তীতে হত্যা বস্তাবন্দি করে পুকুরের পানিতে মৃতদেহ গুম করা হয় বলে জানান প্রশাসন কে।

বিএনপির সাথে সুসম্পর্ক,

পেকুয়া উপজেলা  সহ বিভিন্ন এলাকায়  আনাচে কানাচে প্রচার আছে- জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত থাকলেও তাদের সাথে  রয়েছে বিএনপির কিছু নেতা কর্মীদের সাথে আত্মার সুসম্পর্ক। কোন আপদ বিপদ হলে সহযোগিতা করেন  বিএনপির কিছু নেতা কর্মীরা। সম্প্রতি গত আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে  পেকুয়ায় বিভিন্ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ঘর বাড়ি, দোকান, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ  করেন  পেকুয়ার  জনগণ।  এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা থেকে কর্মী  সহ সমর্থন কারীরা।  পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার মধ্যে  জাহাঙ্গীর আলম অন্যতম  একজন প্রভাবশালী নেতা। কিন্তু  আগস্ট  বিএনপির কিছু নেতা কর্মীদের সহায়তার কারণে অগ্নিসংযোগ ভাংচুর থেকে রক্ষা পাই যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের  পরিবারের বিভিন্ন স্হাপনা সহ গাড়ি বাড়ির সর্গ রাজ্য।

দখল বেদখলের সাম্রাজ্যে,

পেকুয়া উপজেলা চৌমুহনী এলাকার মধ্যেই যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের তৈরি করা দ্বিতীয় তলা নিজ বসতবাড়ির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন -পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ০৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক গুল্দী চরপাড়া এলাকার মৃত এলহাদাতের পূত্র হাজী আহমদ হোসাইন। জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই পেকুয়া উপজেলা যুব লীগের ত্রাণ সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আজম এর তৈরি করা
পেকুয়া চৌমুহনী চত্বরের পাশে দ্বিতীয় তলা মার্কেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন-জসিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, নাছির উদ্দীন, মহিবুল্লাহ  পেকুয়া নং ওয়ার্ডের মৃত্যু হাজী আব্দুল কাদের এর পূত্র  নাছির উদ্দীন, আব্বাস উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন শাহাব উদ্দিন নামের ব্যাক্তিরা। জাহাঙ্গীর আলম এর আরেক ছোট ভাই বাপ্পী তিনি ছাত্র লীগ নেতা- তার বিরুদ্ধে  রয়েছে  পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় পেকুয়া জমিদার বাড়ির সরফরাজ আল নেওয়াজ চৌং এক মালিকানাধীন নারীর  জমি দখলে নিয়ে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ।
সংরক্ষিত পাহাড় খেকো,

যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম আরেক আপন ছোট ভাই কাইয়ুম তিনিও আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী  তিনি গত আওয়ামী লীগের শাসন আমলেই বারবাকিয়া রেঞ্জ এর আওতায় বারবাকিয়া, শিলখালী, টইটং এলাকায়  ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ গাড়ি দিয়ে সংরক্ষিত সরকারি পাহাড়ের অবৈধ ভাবে মাটি কেটে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। পেকুয়া চৌমুহনী আশপাশ এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের  পালিত সন্তাসীদের চাঁদা না দিলে করতে পারতোনা ঘর বাড়ি, জায়গা জমি ক্রয় বিক্রয়। এলাকায় কোন দালান তৈরি করতে হলে জাহাঙ্গীরের ভাই কাইয়ুমের মালিকানা গাড়ি ব্যবহার করতে হতো বলে জানান এলাকাবাসী।
শুন্য থেকে কোটিপতি যুবলীগ পরিবার,

পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পিতা রমিজ আহমদের এক সময় কিছুই ছিল না। তিনি একজন ধান ব্যবসায়ী ছিলেন পরবর্তী জমি জমার দালালি করে সংসার চালাতেন কোন রকম একটা সময় ছেলে মেয়েরা বড় হলে অল্প লেখা পড়ার মধ্যে  বিভিন্ন কর্ম কাজে জড়িত হয়ে পড়েন। পেকুয়ার প্রাণ কেন্দ্র চৌমুহনীর নিকটতম বাড়ি হওয়ায়সামাজিক আওয়ামী লীগের  রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করে গড়ে তুলেন একটি পরিপাটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দিয়ে পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত পেকুয়া চৌমুহনীর (কলেজ গেইট) আশেপাশের এলাকায় ঘর বাড়ি তৈরি, জায়গায় জমি ক্রয় বিক্রয় হলে নিত বিশাল অংকের চাঁদা এবং কি দখল বেদখল করার কন্ডাক্ট করে কাজ করতো যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আজমগীর-প্রকাশ আজম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিচারের নামে জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়ে হয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।

সবচেয়ে বেশি অবৈধভাবে জমি দখল পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সহ তাঁর ভাইদের অবৈধ টাকার মালিক হন। যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের রয়েছে একটি দ্বিতীয় তলা বাসভবন যাঁহার বাড়ির মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকার মতো, পেকুয়া বাজারে রয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান ,মৎস্য প্রজেক্ট,গাড়ি জমি জমা। যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের ভাই আজমের রয়েছে পৈত্রিক জমিতে দ্বিতীয় তলা বাসভবন অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তোলা বিশাল মৎস্য প্রজেক্ট এবং পেকুয়া চৌমুহনী চত্বরের পাশে গড়ে তুলেন দ্বিতীয় তলা মার্কেট, নামে বে-নামে রয়েছে বিভিন্ন এলাকায় দোকান   জমি জমা। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই কাইয়ুম বাপ্পির- রয়েছে নিজ বসতবাড়িতে পাকা বাড়ি তাদের বেশ কয়েকটি মাটি কাটার গাড়ি ডাম্পার। এলাকার কয়েকটি স্থানে দোকান ঘর রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

জনগণের আক্রমণে লন্ডভন্ড বিভিন্ন স্থাপনা,

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আরিফ অপহরণের শিকার হলে পেকুয়া উপজেলার সাধারণ মানুষের সন্দেহের তীর ছুটে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের উপর। যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে আনাগোণা বৃদ্ধি পাই- অধ্যক্ষ আরিফ অপহরণ নিয়ে।পেকুয়ায় প্রচার আছে- অধ্যক্ষ আরিফ ক্লিন ইমেজ অরাজনৈতিক ব্যাক্তি,সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যেস্ত শিক্ষিত মানুষ। কোন অবৈধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল না। তাঁদের পরিবারের সাথে রয়েছে এলাকার মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক।  অধ্যক্ষ আরিফ অপহরণের বিষয়টি মেনে নিতে পারছিল না সাধারণ মানুষ থেকে যুব ছাত্র সমাজ। দিনের গন্ডি যতই পার হচ্ছে ততই বাড়ছে মানুষের আক্রোশ। পরিশেষে গত ১১ অক্টোবর শুক্রবার প্রায় টার দিকে যুবলীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের অবৈধভাবে দখল নেওয়া(নিহত পরিবারের জায়গা)এর পাশে অধ্যক্ষ আরিফের লাশ ইট বাঁধা গলিত বস্তাবন্দি  নিজ বসতবাড়ির পরিত্যক্ত পুকুর থেকে লাশ পাওয়ার খবর বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পেকুয়া সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষের ঢল নামে নিহত অধ্যক্ষ আরিফের বাড়িতে। পেকুয়া চৌমুহনী হয়ে ওঠে আবেগঘন পরিবেশ উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের হাতে জিম্মি,হেনস্তা, অবৈধভাবে দখল নেওয়ার জায়গা জমির মালিক আত্মীয় স্বজন, বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায় করা ব্যাক্তি তাদের হাতে প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হওয়া পেকুয়া সহ বিভিন্ন এলাকার জনগন অধ্যক্ষ আরিফ হত্যার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় আক্রোশপ্রসূত হয়ে খেপিয়ে এগিয়ে যান যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে জনতা। সেইখানে গিয়ে অধ্যক্ষ আরিফ হত্যার কিছু রক্তাক্তের বিভিন্ন আলামত দেখতে পেয়ে আরো বেশি খেপিয়ে ওঠে জনগন ভাংচুর করে  আগুন লাগিয়ে দেন বসতবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাপনায়। কেটে  তচনচ করে লন্ডভন্ড করে দেন যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের অবৈধভাবে দখল করে তৈরি করা মৎস্য প্রজেক্ট, বাগান বাড়ি,দোকান বিভিন্নরকম কয়েকটি গাড়ি।

সচেতন নাগরিক বলেন,

"যেমন কর্ম থেমন ফল" যুবলীগ করে জাহাঙ্গীর আলম এর পরিবার অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে- তাদের আগে কিছুই ছিল না একমুঠো ভাত খেতে না পারা পরিবার আজ পেকুয়ায় সর্গ রাজ্য তৈরি করেছেন।  বাড়ি তৈরি করে লাগিয়েছেন এসি, কিনছে গাড়ি বাড়ি জমি জমা তাদের কোন কিছুর অভাব নেই চোখে পড়ার মতো- এই যেন এক নতুন ইতিহাস। একজন সাদা মনের মানুষ ছিল অধ্যক্ষ আরিফ তাদের জমি দখল করে বিভিন্ন ফলজাত গাছ গাছালী লাগিয়ে তৈরি করেছেন বাগান বাড়ি মাছ চাষ-- অধ্যক্ষ আরিফ নিজের জমি ফেরত চাওয়ায়  আজ তাঁর প্রাণ কেড়ে নিলো। হয়তো এই হত্যার মধ্যেই চাঁদা বাজি, অবৈধ দখল,জিম্মি, হেনস্থা,সিন্ডিকেট সাম্রাজ্য সহ বিভিন্ন  অবৈধভাবে তৈরি করা কোটি কোটি টাকার সম্পদের সমাপ্তি হবে- এমন  প্রত্যাশা পেকুয়া বাসীর।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages