রবিউল ইসলাম , ঝিনাইদহ:
জেলায় উৎসবের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। রবিবার বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যা ৬টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব শেষ হয়। এ বছর জেলায় মোট ৪৩৫টি পূজা মন্ডপে উদযাপিত হয়েছে দুর্গা পূজা। রবিবার (১৩ অক্টোবর) জেলা শহরের চাকলাপাড়া, ব্যাপারীপাড়া, মহিষাকুন্ডু, ষাটবাড়িয়া, কাঠালবাগান পাড়া, মথুরাপুর সহ অন্যান্য সকল মন্ডপগুলোতে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে।
এ ছাড়া পূজারী ও দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতিতে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে জেলা শহর। রঙের খেলায় মেতে উঠেছিল শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীরা। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নির্বাহী সদস্য চন্দন বসু মুক্ত জানান, এ বছর জেলায় মোট ৪৩৫টি পূজামন্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ১০৩টি, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ২৭টি, শৈলকুপা উপজেলায় ১২৩টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৯৯টি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৪১টি ও মহেশপুরে ৪২টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ বাসস’কে বলেন-‘প্রতিমা বিসর্জনের জায়গাগুলো আমরা সকাল থেকেই পর্যবেক্ষণ করেছিলাম। বিসর্জনের সময় যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি। নির্বিঘ্নে প্রতীমা বিসর্জনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পূজারী নিতায় কুমার বিশ্বাস বলেন- ‘প্রতি বছর শরতে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যলোকে কন্যারূপে আসেন দেবী দুর্গা। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথির এই পাঁচটি দিন আমাদের কাছে আনন্দের। দশমীর দিনে দেবী দুর্গা মর্ত্যলোক ছেড়ে আবারও ফিরে গেছেন।’ঝিনাইদহ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দন বসু মুক্ত বলেন, জাঁকজমক ভাবে জেলার সকল পূজামন্ডপে পূজা উদযাপিত হয়েছে। পূজারীরা দেবী মাকে তাদের নিবেদন জানিয়েছে। এ বছর আমরা রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি।
No comments:
Post a Comment