ওসমান হোসাইন. কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলাস্থ মইজ্জ্যারটেক এলাকায় গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে পাঁচটি দোকান। শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত আনুমানিক তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান,বাদশার ফলের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মুহূর্তের মধ্যে আগুন সবদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন,বাদশাহের ফলের দোকান, বেলালের মোবাইল ফোনের দোকান, ছোটন দে এর সিএনজি ওয়ার্কসপ, সিয়ার আহমেদের কুলিং কর্নার ও নুরুল আক্তারের কুলিং কর্নার। ক্ষতিগ্রস্তের দাবি এতে প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার বেলাল বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ ফোন আসে দোকানে আগুন লেগেছে। পরে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ধার-কর্য করে দোকান করেছি। জানিনা এখন কি হবে। আমার ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সিএনজি ওয়ার্কসপের মালিক ছোটন দে বলেন, আমার বাড়ি রাউজান, কর্ণফুলীতে ওয়ার্কসপের দোকান করে কোনোমতে ঘরসংসার চালাই। এখন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঋণ করে দোকানটি দিয়েছিলাম। এতে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কর্ণফুলী মডার্ন ফায়ার স্টেশন অফিসার ইনচার্জ ইমরান হোসেন জানান, "রাত ০৩:১৫ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় এক ঘন্টারো বেশি সময় অভিযান পরিচালনা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক আট লক্ষ টাকা। হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে,গত রোববার রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শাহ ছমিউদ্দিন ফারুকীর মাজারের পাশে আগুনে মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. শাহাজাহান নামের দুই ভাইয়ের দোকান পুড়ে যায়।
No comments:
Post a Comment