রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:
এবার ৪র্থ শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থীদের পাড়া মহল্লাতে পাঠিয়ে আগামী নতুন বছরের জন্য ছাত্র সংগ্রহের কাজ করাচ্ছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। রোববার সকালে কালীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী শহরের কলেজপাড়াতে ভর্তিচ্ছুক নতুন শিশুদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের চিত্রটি দেখা গেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা বলছে, তাদের বিদ্যালয়ের ম্যাডামরা এ কাজ করার নির্দ্দেশনা দিয়েছেন। এদিকে ক্লাস বন্ধ রেখে ছাত্র সংগহে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে এমন কাজ করানোতে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে রোববার সকালে শহরের কলেজপাড়াতে দেখা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরে হাতে কাগজ ও কলম নিয়ে কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী বাড়ী বাড়ী ঘুরছে। এ কাজে আসা ওই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর শিশু শিক্ষার্থী মাসিউর রহমান স্বাধীন ও আলিমুজ্জামান জানায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কাকলী ম্যাডাম তাদের পাঠিয়েছেন। তাদেরকে পাড়ার ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নাম, বাপের নাম, মায়ের নাম ও বয়স ঠিকানা লিখে নিয়ে যেতে বলেছেন। শিশুরা আরো জানায়, ওই ম্যাডাম এক সপ্তাহ আগে এ কাজ করার নির্দ্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময়ে ওই কাজ না করাতে আজ (রোববার) স্কুলে গেলে ম্যাডাম বকাবকি করাতে তারা এ কাজে এসেছেন। শিশু শিক্ষার্থীরা আরো জানায়, এ কাজের জন্য ওই বিদ্যালয়ের সাবিনা ও পারভিনা নামের দুই ম্যাডামও তাদের মত আরো অনেক ছাত্রকে বিভিন্ন গ্রামে পাঠিয়েছেন।
শিশু ছাত্রদের দিয়ে নতুন ছাত্র সংগহের তালিকা করতে পাঠানো নির্দ্দেশনাকারী শিক্ষিকা কাকলী ম্যাডাম বলেন, স্কুলে ওই ছাত্রদের সাথে আমার দেখাই হয়নি। ওরা কিভাবে আমার নাম বলেছে সেটা আমি বুঝে উঠতে পারছি না।
ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ছাত্র সংগ্রহে শিশু শিক্ষার্থীদের পাড়া মহল্লায় পাঠানো ঠিক হয়নি। স্কুল বন্ধের সময়ে কোন এলাকায় শিক্ষকরা গেলে সেই এলাকার ছাত্রদের ডেকে নিতে পারেন। কিন্তু শুধুমাত্র ছাত্রদের পাঠোনোর নির্দ্দেশ শিক্ষকরা দিতে পারেন না। বিষয়টি তিনি জেনে পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শারমিন নাছিমা বানু বলেন, শিশু শিক্ষার্থী ছাত্রদের দিয়ে নতুন ছাত্র সংগ্রহের কাজ করানো যাবে না। তিনি এখন ছুটিতে আছেন। অফিসে এসে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment