একুশে মিডিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরী চৌমুহনী এলাকাটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চৌরাস্তা। তবে সঠিক শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনার অভাবে এই ব্যস্ত মোড়ে প্রতিনিয়ত ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পথচারী ও যাত্রীদের জন্য চরম দুর্ভোগ ডেকে আনছে।
গুনাগরী চৌমুহনী এলাকা থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক— বাঁশখালী-চট্টগ্রাম সড়ক, কক্সবাজার বিকল্প সড়ক, সাতকানিয়া সড়ক এবং আশপাশের গ্রামীণ সড়কগুলো সংযুক্ত হয়েছে। ফলে এই চৌমুহনী দিনে-রাতে সবসময়ই ব্যস্ত থাকে। কিন্তু ফুটপাত দখল, যানবাহনের এলোমেলো পার্কিং এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এখানে ভয়াবহ যানজটের মূল কারণ।
বিশেষত, সকাল ও সন্ধ্যার সময় এই এলাকার যানজট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যানজটের কারণে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুলে পৌঁছাতে পারে না এবং জরুরি পরিষেবাগুলোর (যেমন এম্বুলেন্স) গতিরোধ হয়।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গুনাগরী চৌমুহনী দিয়ে চলাচল করা এখন দুঃস্বপ্ন। যানজট এতটাই বেড়েছে যে, কয়েক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়।”
পরিবহন চালকদের মতে, সঠিক ট্রাফিক নির্দেশনার অভাব এবং দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তারা জানান, মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কার্যকর উপস্থিতি থাকলে যানজট অনেকাংশে কমে আসতে পারে।
এ বিষয়ে বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন, “গুনাগরী চৌমুহনী এলাকার যানজট নিরসনে আমরা একটি সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ফুটপাত দখলমুক্ত করা, অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা এবং মোড়ের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার কাজ শিগগিরই শুরু হবে।”
এলাকার জনগণ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের আশায় আছেন। তারা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে গুনাগরী চৌমুহনীর যানজট সমস্যার সমাধান সম্ভব। অন্যথায় এই সমস্যাটি আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
No comments:
Post a Comment