বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২শতাধিক আসামির জামিন, হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুনঃতদন্ত কমিশন - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday, 19 January 2025

বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলায় ২শতাধিক আসামির জামিন, হত্যাকাণ্ড তদন্তে পুনঃতদন্ত কমিশন

একুশে মিডিয়া, প্রতিবেদন:

২০০৯ সালের পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। রোববার (১৯ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল- এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতের কার্যক্রম:

রোববার সকাল ১১টার পর বিচারকাজ শুরু হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আলহাজ মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য প্রার্থনা জানান। উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।

বিদ্রোহের পটভূমি:

২০০৯ সালের ২৫ ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর হত্যা বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়।

হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০১৩ সালের নভেম্বর ৮৫০ জনের রায় ঘোষণা করা হয়। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন, এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২৭৮ জন খালাস পান।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এছাড়া ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ২৮৩ জনকে খালাস দেয়া হয়।

বিস্ফোরক মামলার অগ্রগতি:

বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হলেও হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপনে অগ্রাধিকার দেয়ায় বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। সম্প্রতি এই মামলায় জামিন প্রাপ্তি কিছু অগ্রগতি আনার ইঙ্গিত দিয়েছে।

পুনঃতদন্তের দাবি কমিশন গঠন:

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় পুনঃতদন্তের দাবি জানানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে গত ২৪ ডিসেম্বর ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করা হয়, যা ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

সরকারের উদ্যোগ:

সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

সামগ্রিক পরিস্থিতি:

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি এবং নতুন তদন্তের মাধ্যমে শহীদ পরিবারগুলোর আশা পূরণে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages