একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে দেওয়া বক্তব্যের জের ধরে একদল যুবক তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ফারুক হাসানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ এ দিন বিকেলে জুলাই হত্যাকাণ্ডসহ গত ১৫ বছরের বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের বিচার, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার গঠনসহ একাধিক দাবিতে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ফারুক হাসান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য দেওয়ার সময় ফারুক হাসান অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, "শেখ হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে আমরা বিপ্লবী সরকার করেছি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি। ৫ আগস্ট যারা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে, তারাই এই বিপ্লব না হওয়ার পেছনে দায়ী।"
হামলার পর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের সামনে ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেন, "ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আমি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছি এবং আমার বক্তব্য সঠিক। কিন্তু ছাত্রদল অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।"
তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "ছাত্রদল নয়, বরং জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের কিছু ব্যক্তি ফারুক হাসানের ওপর হামলা চালিয়েছেন। আমি শাহবাগ থানায় যাচ্ছি এবং আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।"
অন্যদিকে সমাবেশের আয়োজক সংগঠন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মো. আরিফ বলেন, "কে বা কারা ফারুক হাসানের ওপর হামলা চালিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।"
এ ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং দায়ীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি উঠেছে।
No comments:
Post a Comment