একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় শুক্রবার গভীর রাতে টিকটকার এক তরুণীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকছেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে। আটককৃতদের কাছ থেকে মোবাইলে ধারণকৃত নগ্ন ভিডিওর ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগকারী ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
ওসি মোকছেদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অভিযোগের বিবরণ:
২০ বছর বয়সী ভুক্তভোগী তরুণীকে চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামের টিকটকার আকরাম খাঁন নতুন একটি টিকটক ভিডিও তৈরির প্রস্তাব দেন। এর সূত্র ধরে আকরাম তাকে বোয়ালমারী উপজেলা থেকে ভাঙ্গায় নিয়ে আসে।
বাবলাতলা গ্রামের একটি নির্জন বাড়িতে আকরাম তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করে। এরপর আকরাম এবং তার সহযোগী মধুখালী উপজেলার জুয়েল মোল্লা ও আরেক অজ্ঞাত যুবক ওই তরুণীকে বাবলাতলা বাজার সংলগ্ন একটি বিউটি পার্লারে নিয়ে যায়।
স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চুমুরদী ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার আনারুদ্দিন মোল্লার ছেলে ছাইদুল মোল্লা এবং তার সহযোগীরা তাদের আটক করে। গভীর রাতে ছাইদুল ও তার সহযোগীরা ওই তরুণী এবং আকরামকে বিবস্ত্র করে মারধর করে এবং অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে।
পরে চাঁদা দাবি করে এবং কিছু টাকা আদায়ও করে। পরবর্তীতে তরুণী এবং আকরাম স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশ রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় এবং ছয়জনকে আটক করে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
No comments:
Post a Comment