একুশে মিডিয়া, কক্সবারজার প্রতিবেদন:
‘আপা, আপনার চেইন খুব সুন্দর, আমার পছন্দ হয়েছে।’ কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গেই দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা নারীর গলা থেকে চেইন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় কক্সবাজারের ব্যস্ততম এলাকা গোলদিঘির পাড়ে এ দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ:
ছিনতাইয়ের শিকার নারী অমিতা নাথ পেশায় সদর হাসপাতালে সিনিয়র নার্স। তিনি সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অমিতা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে এবং কথা বলার ছলে গলার চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার সময় ওই এলাকায় অনেক মানুষ উপস্থিত থাকলেও কেউ ছিনতাইকারীদের থামাতে পারেনি। সংঘটিত ঘটনাটি স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল অভিভাবকদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য:
অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুর্বৃত্তরা আগেই ওঁৎ পেতে ছিল। জনসমাগম থাকা সত্ত্বেও তারা এমন সাহসিকতার সঙ্গে ছিনতাই ঘটিয়েছে যা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া:
কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন সরকার জানান, শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। এমনকি তার নিজের ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্যও সম্প্রতি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, “শহর বড় হওয়ায় আমাদের জনবল এবং যানবাহনের সংকট রয়েছে। তবে ছিনতাই রোধে পুলিশ নিরলস কাজ করছে। গত কয়েক মাসে অর্ধশতাধিক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
সামাজিক প্রভাব:
এ ধরনের দুঃসাহসিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের অভিভাবকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপ আশা করছেন।
উপসংহার:
কক্সবাজার শহরে ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ দমন করতে পুলিশকে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন এবং বাসিন্দাদের একসঙ্গে কাজ করার বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment