একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:
রাউজানের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের সংগঠন রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতি কার্যক্রম পরিচালনায় বাধার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীর একটি সংগঠনের নামে রাউজানের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের জলিল নগর সিএনজি স্টেশনে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজি চালকেরা সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় চাঁদা আদায়কারীদের সঙ্গে চালকদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, চট্টগ্রাম নগরীর একটি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে প্রতিটি সিএনজি থেকে ১০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। আদায়কৃত অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চালকেরা জানতে চান, এই অর্থ কার পকেটে যাচ্ছে।
ঘটনার এক পর্যায়ে উত্তেজনা বেড়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী জানান, দুই সমিতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
সমিতির বক্তব্য:
রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতির সভাপতি সালামত উল্লাহ লেদু এবং সাধারণ সম্পাদক কাজল দে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, “চট্টগ্রাম নগরীর টেম্পু সমিতির নামে কেউ রাউজানে চাঁদাবাজি চালালে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।”
সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান, “জলিল নগর সিএনজি স্টেশন আমাদের আওতাধীন। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু ব্যক্তি সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।”
অন্যদিকে, অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জানান, “রাউজান-রাঙামাটি বেবী টেক্সী চালক সমিতি নিজেও চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে এবং অতীতে তারা নানা দুর্নীতিতে লিপ্ত ছিল। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নই।”
পুলিশের উদ্যোগ:
রাউজান থানার ওসি আরও জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ ও দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মীমাংসার জন্য রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
চালকদের দাবি:
সিএনজি চালকেরা স্টেশনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এবং সংগঠনের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
No comments:
Post a Comment