একুশে মিডিয়া, ডেস্ক:
মহেশখালীতে একের পর এক পাশবিক ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের সোনারপাড়া এলাকায় ২২ বছর বয়সী এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। তার পরিবার অভিযোগ করে, ধর্ষণকারীরা শুধু নির্যাতন চালিয়েই থামেনি, বরং ঘরের আলমারি ভেঙে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
পরিবার জিম্মি, চিকিৎসায় বাধা:
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর ভুক্তভোগী নারী ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর থেকে বের হতে দেয়নি। সারাদিন পরিবারকে জিম্মি করে রাখায় চিকিৎসা নিতেও বাঁধা সৃষ্টি করে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় ভুক্তভোগী নারীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও চিকিৎসা পরিস্থিতি:
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মাহফুজুল হক বলেন, "বুধবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি।"
ঘটনার বিবরণ:
ভুক্তভোগী জানান, তার স্বামী চট্টগ্রামে ছিলেন। এই সুযোগে বুধবার রাতে ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে মুখ চেপে ধরে তাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়। বাধা দিলে ছুরি দিয়ে গলা কাটার হুমকি দেয়। দুর্বৃত্তরা তার ঘরের আলমারি থেকে নগদ টাকা লুট করার পর হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা:
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, "আমি চিকিৎসার কাজে চট্টগ্রামে ছিলাম। এই সুযোগে আমার স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে এবং ঘরের টাকা লুট করা হয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।"
বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ:
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কালারমারছড়ায় স্থানীয় ছাত্রজনতা ও স্কুল শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
জনমনে আতঙ্ক:
মহেশখালীতে একের পর এক এমন ঘটনার কারণে স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
No comments:
Post a Comment