পবিত্র জুমার দিন ও শাবান মাসের ফজিলত - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 6 February 2025

পবিত্র জুমার দিন ও শাবান মাসের ফজিলত

মোহাম্মদ ছৈয়দুল আলম, সাপ্তাহিক শুক্রবারের কলম

আজ পবিত্র শুক্রবার বা জুমার দিন, শাবান ১৪৪৬ হিজরী। ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বরকতময় দিন। এই দিনে মুসলিম উম্মাহ একত্রিত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দোয়া করে এবং ধর্মীয় আলোচনা শোনে। এই দিনকে আত্মশুদ্ধি, কল্যাণ মানবতার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়।

শাবান মাস হলো ইসলামী বর্ষপঞ্জির অষ্টম মাস, যা রমজানের প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘শাবান মাসে আমি অধিক পরিমাণে রোজা রাখি, কারণ এই মাসে মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়’ (তিরমিজি, হাদিস ৭৩৮) শাবান মাসে বেশি বেশি ইবাদত করা, দান-সদকা করা আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জুমার দিনের গুরুত্ব:

হাদিসে উল্লেখ আছে, জুমার দিন সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম (.) সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে নামানো হয়েছে’ (মুসলিম, হাদিস ৮৫৪)

জুমার দিন মসজিদে গমন, খুতবা শোনা বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এই দিন বিশেষভাবে দরুদ পাঠ করা, দোয়া করা নফল নামাজ আদায় করা উচিত।

শাবান মাসের গুরুত্ব:

শাবান মাসকে রমজানের প্রস্তুতির মাস বলা হয়। বিশেষ করে, ১৫ শাবানের রাতলাইলাতুল বরাতনামে পরিচিত, যা মুসলমানদের কাছে গুনাহ মাফের রাত হিসেবে সম্মানিত। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত, দোয়া নফল রোজা রাখার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও এই মাসে অধিক পরিমাণে রোজা রাখতেন এবং উম্মতকে নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন।

আমাদের করণীয়:

জুমার দিনে আমাদের উচিত বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা, কুরআন তিলাওয়াত করা এবং নামাজে মনোযোগী হওয়া। শাবান মাসে আত্মশুদ্ধি ইবাদতে মনোনিবেশ করে আমাদের রমজানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এই বরকতময় দিনে আমরা যেন গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি, সেই প্রার্থনাই করছি।

আমাদের উচিত বেশি বেশি নফল ইবাদত করা, অসহায় দরিদ্রদের সহায়তা করা, আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া এবং সর্বোপরি আল্লাহর পথে চলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শাবান মাসের বরকত দান করুন এবং রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages