রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রাম ও ডাকবাংলা এলাকার বহুল পরিচিত নাম আব্দুল মালেক ও আবুল কালাম ওরফে বাবুল মাস্তান। এক সময় হত্যা ও সন্ত্রাসসহ একাধিক মামলার আসামি হিসেবে আলোচিত এই দুই ব্যক্তি কারাভোগের পর আবারও এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, আব্দুল মালেক কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নতুন করে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ গঠন করেছেন, যারা চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং নানা অনৈতিক কাজে জড়িত। তাদের তৎপরতায় এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, আব্দুল মালেক, বাবুল মাস্তান ও আব্দুল বারি মোল্লার নেতৃত্বে গঠিত একটি চিহ্নিত অপরাধী গ্রুপ এলাকায় দাপটের সঙ্গে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। এই গ্রুপে রয়েছে মমিন ড্রাইভার, সালাম হোসেন, বিশারত, পিলু, সিরাজ, তরিকুলসহ আরও কয়েকজন। তারা একাধিকবার নিরীহ মানুষের উপর হামলা ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলেও জানা গেছে। আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের বিরুদ্ধে অতীতে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে।
বাবুল মাস্তান ছিলেন: ১৯৯২ সালের ১২ নভেম্বর হরিণাকুন্ডু থানার হত্যা মামলা নং-৫ এর ২ নম্বর আসামি, ১৯৯৩ সালের ২১ জানুয়ারির মামলা নং-১১ এর ৫ নম্বর আসামি, ১৫ মার্চের মামলা নং-১৪ এর ৯ নম্বর আসামি, ২৮ এপ্রিল মামলা নং-৩৩ এর ১৩ নম্বর আসামি, অপরদিকে আব্দুল মালেক ছিলেন: জি.আর ৭৩/৯৮, ৭ নম্বর আসামি, ৩৫/৯৭, ৫ নম্বর আসামি, ১৩০/৯৮, নামীয় আসামি, ২৯/৯৯, ৭ নম্বর আসামি, ২৩/৯৯, ৫ নম্বর আসামি, বিশেষ করে ২৩/৯৯ মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল, তবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় সেই রায় কার্যকর হয়নি।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, "আব্দুল মালেক আবার আগের মতোই হয়ে গেছে। রাতে কেউ বের হতে সাহস পায় না। পুলিশে অভিযোগ করেও ফল পাওয়া যায় না। আর বাবুল মাস্তান তো আগে থেকেই পূর্ব বাংলার সদস্য ছিল, এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।"
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই দুইজন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কুখ্যাত কমান্ডার হানেফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। কারাগার থেকে মুক্তির পর তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,
"আব্দুল মালেকের বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। তার বিরুদ্ধে যেকোনো অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
No comments:
Post a Comment