চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার: ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কা, চালক পলাতক - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday, 19 April 2025

চট্টগ্রামে খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার: ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কা, চালক পলাতক

একুশে মিডিয়া ডেস্ক:

চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে নিখোঁজ হওয়া শিশুটির মরদেহ ১৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চাক্তাই খালের চামড়ার গুদাম সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনার স্তূপের মধ্যে ভেসে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত শিশুটির নাম সেহরিশ। তার মায়ের নাম সালমা বেগম এবং বাবার নাম মো. শহিদ। তারা নগরীর আছদগঞ্জ এলাকায় বসবাস করেন। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) চকবাজারের কাপাসগোলা এলাকায় শহিদের বোনের বাসায় বেড়াতে যান সালমা বেগম, শিশু সেহরিশ তার দাদি।

সন্ধ্যার দিকে তারা ব্যাটারিচালিত রিকশায় করে বাসায় ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশাটি চকবাজার এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে যায়। সময় সেহরিশ মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হয়। রিকশাচালক ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সালমা বেগম তার শাশুড়িকে উদ্ধার করেন।

রাত সাড়ে আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)-এর পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা এবং নৌবাহিনীর ডুবুরি দল অভিযানে অংশ নেয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খালে পড়ে যাওয়া রিকশাটি স্ক্যাভেটর দিয়ে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থলে রাতেই উপস্থিত হন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি ঘোষণা দেন, যে ব্যক্তি শিশুটিকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করতে পারবে, তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

শনিবার সকালে খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক মিজান হঠাৎই খালে ভেসে থাকা অবস্থায় শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। তিনি জানান, “প্রথমে মনে হয়েছিল পুতুল। পরে কাছে গিয়ে দেখি শিশুর মরদেহ। প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম, ভয়ে শরীর কাঁপছিল। এরপর আশপাশের মানুষদের ডেকে আনি।

শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে খালপাড়ে পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নালায় শিশুর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি আশপাশের এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ খালপাড়ে ভিড় করেন এবং উদ্ধার কাজে বাধা সৃষ্টিকারী আবর্জনার স্তূপ, জলাবদ্ধতা এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর অভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-এর সমালোচনা করেন। তারা অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা এবং খালপাড়ে নিরাপত্তা রেলিং স্থাপনের দাবি জানান।

এদিকে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শিশুটির জন্য প্রার্থনা করেছেন অনেকেই।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages